কয়লা সংকটে পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদনে আসার চার দিনের মাথায় বন্ধ হয়ে গেছে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর এস আলম গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত কেন্দ্রটি ৩০০ থেকে ৩৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করছিল।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) মধ্যরাত থেকেই বিদ্যুৎ উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর আগে, গত ৫ জুন সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়।
পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর পিডিবি এসএস পাওয়ারকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের অনুরোধ করে। সে মোতাবেক গত ৪ মে থেকে পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন শুরু করে কেন্দ্রটি।
এ প্রসঙ্গে এসএস পাওয়ারের ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মূলত লোডশেডিংয়ের কারণে পিডিবির অনুরোধে আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছিলাম। তবে এটা ধারাবাহিক থাকার কথাও না, কারণ আমরা এখনও বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাইনি। যেটুকু কয়লা মজুদ ছিল তা দিয়েই উৎপাদন চালিয়েছি।
আরও পড়ুন- ভূরুঙ্গামারীতে বজ্রপাতে প্রাণ গেল কৃষকের; স্ত্রী আহত
আবার উৎপাদন করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কয়লার অর্ডার দিয়েছি। আশা করছি ২০ তারিখের ভেতর কয়লা চলে আসবে। তখন আবার উৎপাদনে যাওয়া হবে।
এদিকে পিজিসিবি সংশ্লিষ্টরা জানান, এসএস পাওয়ার প্লান্টের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হতে আরও দুই মাস সময় লাগবে। বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য চট্টগ্রামের মদুনাঘাট সাবস্টেশন থেকে মেঘনাঘাট সাবস্টেশন পর্যন্ত নির্মাণাধীন ২১৪ কিলোমিটার লাইনের ৭ কিলোমিটারের কাজ এখনও বাকি। সঞ্চালন লাইন পুরোপুরি তৈরি না হওয়া পর্যন্ত এসএস পাওয়ার বাণিজ্যিক উৎপাদনের অনুমোদন পাবে না।