রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে বিশালদেহী হাতি। যে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যায় ভয়ে সেখান দিয়ে যেতে পারছে না শিক্ষার্থী, পথচারীসহ কোনো যানবাহন। পিঠে ভাব নিয়ে বসে আছেন মাহুত। আর এই মাহুতের নির্দেশেই এক গাড়ী থেকে আরেক গাড়ীতে যাচ্ছে হাতিটি। তারপর শুঁড় এগিয়ে দিচ্ছে গাড়ীর ড্রাইভার এর কাছে। শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে না দেওয়া পর্যন্ত শুঁড় সরাচ্ছে না হাতিটি। টাকা না দিলে উল্টো ভয় দেখাচ্ছে মাহুত। এভাবেই অভিনব কৌশলে হাতি দিয়ে দিনে দুপুরে চলছে চাঁদাবাজি। এতে স্থানীয়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ।
এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে নেত্রকোণা জেলার মদন উপজেলার মদন-ফতেপুর রাস্তার বাগজান-পরশখিলা গ্রামের মাঝামাঝি স্থানে।
আরও পড়ুন- আগামী ৩ জুন শপথ নেবেন এরদোয়ান
বুধবার (৩১ মে) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আনুমানিক সকাল ১০:৩০ মিনিটে ব্যাটারি চালিত অটো, মোটরসাইকেল সহ বিভিন্ন যানবাহনকে একটি হাতি দিয়ে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে ১০ থেকে ৫০ টাকার চাঁদা নিচ্ছেন একটি ছেলে। এতে কেউবা টাকা দিচ্ছেন মনের খুশিতে আবার কেউ দিচ্ছেন হাতির ভয়ে। টাকা না দিলে ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে রাখা হয় গাড়িগুলোকে।
প্রত্যেকদর্শী কয়েক জনের সাথে কথা হলে জানা যায়, সকাল ১০টা থেকে এখানে রাস্তা দিয়ে যাতায়তকারী সকল গাড়ি থেকে এই হাতি দিয়ে ১০ থেকে ৫০ টাকা চাঁদা নিচ্ছেন এই ছেলেটি। কেউ টাকা না দিতে চাইলে গাড়ি গুলোকে আটকে রাখা হচ্ছে বলেও জানান তারা।
এ সময় সমকাল পত্রিকার সাংবাদিক মোতাহার আলম চৌধুরীসহ দুইজনগণমাধ্যম কর্মীর গাড়িও চাঁদার জন্য আটকে রাখা হয় কয়েক মিনিট। তারপর সাংবাদিক পরিচয় জানার পরে তাদের কে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে মোতাহার আলম চৌধুরী বলেন, এটা একটি ঘৃণিত কাজ। আমি প্রশাসনকে অনুরোধ করছি এটা খুব তাড়াতাড়ি বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।
আরও পড়ুন- রামগড়ে কুপিয়ে হত্যাঃ ৭ জনের যাবজ্জীবন
রাস্তায় এভাবে চাঁদার তুলার কোন অনুমতি আছে কিনা ঐ ছেলের কাছে জানতে চাইলে, সে তার মুখে গামছা দিয়ে বেধে মুখ লুকানোর চেষ্টা করে। এমনকি গণমাধ্যম কর্মীদের কোন প্রশ্নের জবাব দেয়নি সে।
মদন থানার ওসির তাওহিদুর রহমানের সাথে মুঠো ফোনে কথা হরে, তিনি জানান গত কাল মদন সদরের পাশে এরকম ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। আমি বিষয়টি এখনি দেখছি।