দেশের ৭ বিভাগের ৫৭টি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের (৩৬ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা আরও দুইদিন অব্যাহত থাকতে পারে জানিয়ে আবহাওয়া দপ্তর। এ ছাড়া এই পরবর্তী দুই দিন তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও জানাগেছে।
বুধবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গায় টানা ১১ দিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। এতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বুধবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ ডিগ্রি ৭ সেলসিয়াস। যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।
আরও পড়ুন- রোকাইয়াকে বাঁচাতে প্রয়োজন ৪ লাখ টাকা
সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা বিভাগের ১৩টি, রাজশাহী বিভাগের ৮টি, খুলনা বিভাগের ১০টি, বরিশাল বিভাগের ৬টি, চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি, সিলেট বিভাগের ৪টি ও ময়মনসিংহ বিভাগের ৪টি জেলাসহ মোট ৫৭টি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৩৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া ফরিদপুরে ৩৯.৩, মোংলায় ৩৯.৫, যশোরে ৩৯.৪, ঈশ্বরদীতে ৩৯.৩, ফরিদপুর ও খুলনায় ৩৯.০ রাজশাহীতে ৩৯.১, ঢাকায় ৩৮.৯, কুমারখালীতে ৩৮.৬, বান্দরবানে ৩৮.৪, সাতক্ষীরায় ৩৮.৩, টাঙ্গাইল, ফেনী ও রাঙ্গামাটিতে ৩৮.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- লক্ষ্মীপুরে কন্যা শিশুকে মাটিতে আছড়িয়ে হত্যা : পিতা আটক
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা জেলা কর্কটক্রান্তি রেখার কাছাকাছি হওয়ায় মার্চ ও এপ্রিল মাসের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকে। সাধারণত প্রতিবছর এ মৌসুমে কালবৈশাখীর সঙ্গে বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি হয়ে থাকে। তবে, এ বছর এখন পর্যন্ত সে ধরনের পরিস্থিতি হয়নি। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় গড় তাপমাত্রা বেড়েছে। তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।’
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ ছাড়া পরবর্তী তিন দিনে আবহাওয়া সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।