গাজীপুর বাসন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এক মামলায় ‘শিশুবক্তা’ খ্যাত সৈয়দ আদনান হোসেন রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ দুই জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছেন আদালত। চার্জগঠনের ফলে মামলাটির বিচার অনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু হলো।
আজ মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ, এম জুলফিকার হায়াতের আদালতে আসামি অব্যাহতির আবেদন না মঞ্জুর করে চার্জগঠনের আদেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী ১ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। বিচার শুরু হওয়া অপর আসামি হলেন- হাফেজ মাসুম বিল্লাহ।
আরও পড়ুন- জাজিরায় সড়ক দুর্ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্সের ৬ আরোহী নিহত
চার্জগঠনের সময় এই দুই আসামি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচারের প্রার্থণা করেন তারা।
রফিকুল ইসলাম মাদানী পক্ষের আইনজীবী শোহেল মোঃ ফজলে রাব্বী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মাদানীর বিরুদ্ধে মোট ৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩টি মামলায় জামিনে রয়েছেন।
২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গাজীপুর বাসন থানার এসআই মোঃ সাখাওয়াত হোসেন দুই আসামির চার্জশিট দাখিল করেন।
আরও পড়ুন- বৈশ্বিক সামরিক শক্তি সূচকে ৪০তম বাংলাদেশ
জানা যায়, আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র, সরকার, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবমাননা ও মানহানিকর বক্তব্য দেন। এই বক্তব্যের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা অবনতি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি হয়। ওই ঘটনায় ধানমন্ডির ১৫ নম্বর মিতালী সড়কের বাসিন্দা সৈয়দ আদনান হোসেন রফিকুল মাদানীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ২৫ মার্চ বিক্ষোভকালে ঢাকার মতিঝিল এলাকা থেকে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটক করলেও পরে তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
এরপর একই বছর ৭ এপ্রিল নেত্রকোনার বাড়ি থেকে রফিকুল মাদানীকে আটক করে র্যাব। পরদিন তাকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে র্যাব। এরপর গাছা থানায় দায়ের করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর হতে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।