নেত্রকোণার মদন উপজেলার গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের মনিকা নওদার গ্রামে একই জমিতে দুই পরিবারকে বন্দোবস্ত দেওয়ায় সংঘর্ষে নরী ও শিশু সহ ০৪ জন আহত হয়েছে।
আজ সোমবার (২ জানুয়ারী) সকাল ১১টায় এ ঘটনাটি ঘটে।
আহতরা হলেন, হাবিব মিয়া(৩৬), চাম্পা আক্তার(৪৫), কাউসার মিয়া(২০), হিমেল মিয়া (১০)। বর্তমানে তারা মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত হাবিব মিয়া জানান, আমাদের বাড়ির সামনে পূর্ব দিকে একটি জমি ৭৫ শতাংশ ভূমি বন্দোবস্তের মাধ্যমে আমরা ৩০ বছর ধরে চাষাবাদ করে খাচ্ছি। ২০১০ সালে সরকার আমাদের দলিল করে দেন। গত বৈশাখে নাইব, সার্বিয়া স্যার ও এসিল্যান্ড স্যারে আমারে আমার জমি বুঝাইয়া দিছেন।
কিন্তু গত ১৫ ডিসেম্বরে নাইব ও নতুন সার্বিয়ার আমার জমিতে মাপ-যোগ করে আমার ডিপ মেশিনের গদ্দি ও টিউবওয়েলের ডান্ডা ভেঙ্গে ফেলেন। ২০ বছর যাবৎ আমার উক্ত জমিতে ডিপ মেশিন বসিয়ে পানি দিচ্ছি।
আব্দুর রাজ্জাকের বন্দোবস্ত অন্য জায়গায়, তবুও নাইবে তিন লক্ষ টাকা খেয়ে তার পক্ষে কথা বলছে। আমি প্রকৃত ভূমিহীন, হাওরে আমার এক শতাংশ জমি নেই। অথচ আব্দুর রাজ্জাকের একরের পর একর জমি রয়েছে।
আরও পড়ুন- ১২ কেজি এলপি গ্যাসের দাম কমলো ৬৫ টাকা
আজ সকালে আমরা আমাদের জমিতে হাল চাষ করতে গেলে, ফজর আলীর ছেলে সিরাজুল (৩২) আব্দুর রাজ্জাকের পক্ষ হয়ে ২০-২৫ জন লোক নিয়ে আমাদের উপরে হামলা করে। এতে আমি, আমার দুই ভাতিজা ও ভাবী গুরুতর আহত হই। সিরাজুল এর দাবি আব্দুর রাজ্জাকের কাছ থেকে বন্দোবস্তের জমি কিনে নিয়েছে।
এ বিষয়ে গোবিন্দশ্রী ইউনিয়ন উপ-সহকারী সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম চন্দন জানান, গত ১৫ডিসেম্বর আমিও সার্বিয়ার স্যার জমি নির্ধারণের জন্য গিয়েছিলাম একথা সত্য। তবে গত বুধবারে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি স্যার গিয়ে বিষয়টি চূড়ান্ত ফয়সালা দেওয়ার কথা ছিল। স্যার হয়তোবা অফিসিয়াল কাজের কারনে যেতে পারেনি।
তিন লাখ টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আপনি যদি বিশ্বাস করেন হাবিবের কথা সত্য। তাহলে আপনিও পত্রিকায় লিখে দিন আমি তিন লক্ষ টাকা নিয়েছি।
মদন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ তাওহীদুর রহমান জানান, এ বিষয়ে থানায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে আইগত ব্যবস্থা নেবো।