বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক একচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক খাতভিত্তিক আগ্রহের শীর্ষে ছিল পাট খাত। গত সপ্তাহের তিন কার্যদিবস বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষে স্থানে ছিল এ খাতটি। এর ফলে আলোচ্য সপ্তাহে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে এ খাত।
এছাড়া সেবা ও আইটি খাতের শেয়ার গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে।
অন্যদিকে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় দর কমেছে ১০ খাতে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে তিন খাতের শেয়ার।
পুঁজিবাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আলোচ্য সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষে থাকা পাট খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ১৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এর পরের স্থানে থাকা সেবা খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ৪ দশমিক ৭১ শতাংশ। ২ দশমিক ৬১ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ট্যানারি খাত। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের দিক থেকে পঞ্চম স্থানে থাকা পেপার ও প্রিন্টিং খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন- পরিবেশ নিয়ে আমরা কতটা সচেতন?
এদিকে বিদায়ী সপ্তাহে খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। গত সপ্তাহে বেশিরভাগ কার্যদিবসে এ খাতের দখলে ছিল লেনদেন, যার ফলে গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেনের ২২ দশমিক ৩০ শতাংশ অবদান ছিল এই খাতের। বিবিধ খাতে ২১ দশমিক ১৬ শতাংশ লেনদেন হয় এবং এটি তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ডিএসইর মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ৪০ শতাংশ লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত।
অপরদিকে আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে সিমেন্ট খাতে। এ খাতে ৬ দশমিক ১০ শতাংশ দর কমেছে। বস্ত্র খাতে ২ দশমিক ৬৮ শতাংশ দর কমে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১ দশমিক ৭ শতাংশ দর কমে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। তালিকায় থাকা অন্য খাতগুলোর মধ্যে আর্থিক খাতে ৯৩ শতাংশ, সাধারণ বিমা খাতে ৯১ শতাংশ, জ্বালানি-বিদ্যুৎ খাতে ৬৪ শতাংশ, জীবন বিমা খাতে ৮৪ শতাংশ, প্রকৌশল খাতে চার শতাংশ ও ব্যাংক খাতে ছয় শতাংশ এবং বিবিধ খাতে দর কমেছে ২০ শতাংশ।
তালিকায় থাকা অন্য খাতগুলোর মধ্যে বস্ত্র খাতে ৮ দশমিক ২৭ শতাংশ, জ্বালানি-বিদ্যুৎ খাতে ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ, আর্থিক খাতে ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ, খাদ্য খাতে ৩ দশমিক ৭১ শতাংশ, সিরামিক খাতে ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, জীবন বিমা খাতে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ, ব্যাংক খাতে তিন শতাংশ, আইটি খাতে ২ দশমিক ৯৫ শতাংশ, সেবা খাতে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ, কাগজ খাতে ১ দশমিক ৯৫ শতাংশ, সাধারণ বিমা খাতে ১ দশমিক ৩১ শতাংশ, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ১ দশমিক ১১ শতাংশ, ট্যানারি খাতে দশমিক ৯৪ শতাংশ, পাট খাতে দশমিক ৬৭ শতাংশ ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ১৫ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।