পাকিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান ইমরান খানের ডাকা চলমান লংমার্চে গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) গুলি হামলায় ইমরান খান গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ছাড়া তার দলের অন্তত ৬ নেতা আহত হয়েছেন, নিহত হয়েছেন দলের এক কর্মী।
এই নিয়ে আজ শুক্রবার (৪ অক্টোবর) পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছে পিটিআই।
পিটিআই নেতা আসাদ উমর বলেন, শুক্রবার জুমার নামাজের পর দল দেশজুড়ে প্রতিবাদে নামবে। ইমরান খানের দাবি মেনে না হওয়া পর্যন্ত দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলবে।
আরও পড়ুন- লক্ষ্মীপুরে অজানায় পাড়ি দেয়া মাদ্রাসা ছাত্রকে বাবার কাছে ফিরিয়ে আনলেন এসপি
তিনি এক টুইট বার্তায় বলেন, আজ জুমার নামাজের পর ইমরান খানের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত দেশব্যাপী বিক্ষোভ চলবে। এ ছাড়া হামলার প্রতিবাদে দেশটির বাহাওয়ালপুরের আইনজীবীরা ধর্মঘটে যাচ্ছেন।
গতকাল ইমরানের ওপর হামলার পরেই পাকিস্তানজুড়ে পিটিআইয়ের কর্মীরা প্রতিবাদে নামে। তারা টায়ার জ্বালিয়ে, রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ করে। এতে দেশটির বিভিন্ন শহরে ব্যাপক জ্যামের সৃষ্টি হয়।
এদিকে হামলায় কারা জড়িত থাকতে পারে এমন সন্দেহভাজনদের নাম জানিয়েছেন ইমরান খান। তিনি জানিয়েছেন, এই হামলার পেছনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ এবং একজন সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তা জড়িত আছেন বলে সন্দেহ করেছেন।
আরও পড়ুন- ইমরান খানকে হত্যার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিঃ হামলাকারী
এর আগে দেশটির একাধিক সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়, ইমরান খানকে হত্যার মিশনে দুইজন জড়িত ছিল। ইতোমধ্যে অভিযুক্ত এক হামলাকারী গুলিতে নিহত হয়েছে, আরেকজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে।
ইমরান খানের ওপর গুলি চালানোর কারণ জানিয়েছেন অভিযুক্ত এক হামলাকারী। ক্যামেরার সামনে ওই হামলাকারী বলেন, ইমরান মানুষকে বিভ্রান্ত করছিলেন তাই তাকে হত্যা করছে এসেছি।
হামলাকারী আরও বলেন, মানুষকে বিভ্রান্ত করার বিষয়টি আমি সহ্য করতে পারি নি, তাই তাকে খুন করতে আসছি। আমি তাকে হত্যার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। আমি শুধু ইমরান খানকে খুন করতে চেয়েছি আর অন্য কেউ না।