বঙ্গবাজারে আগুন নেভানোর সময় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় আটকেরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজনৈতিক অ্যাকটিভিস্ট (সক্রিয় কর্মী) পরিচয় দিয়েছে বলে মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘আপনারা দেখেছেন বঙ্গবাজারে আগুন ধরার সময় আমাদের ফায়ার সার্ভিসের ১৪টা গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। যে গাড়িগুলো আগুন নেভাবে সেগুলো ভাঙচুর করা হলো। ভিডিওর মাধ্যমে আমরা যাদের চিহ্নিত করেছি ও ধরেছি, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’
সোমবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মনে করি, এসব কিছুর পেছনে যদি কোনো উদ্দেশ্য থাকে, কোনো নাশকতা থাকে বা কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন ধরিয়ে দিয়ে থাকেন সেটাও আমাদের কাছে চলে আসবে। আমরা সেজন্য কাজ করছি।’
আরও পড়ুন- রোকাইয়াকে বাঁচাতে প্রয়োজন ৪ লাখ টাকা
এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আপনারা দেখছেন গত ৫৮ বছরের মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চলছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশেও আমরা দেখলাম হিটস্ট্রোকে মানুষ মারা যাচ্ছে। ঢাকায় ৪০ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা, যেটা আমরা চিন্তাও করতে পারি না। সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়। এই অবস্থায় একটা জিনিস আমরা লক্ষ্য করছি, আমাদের মার্কেটগুলোয় হঠাৎ আগুন লাগছে। আমরা বঙ্গবাজারে আগুন দেখেছি, নবাবপুরে ইলেকট্রিক মার্কেটে আগুন দেখেছি। সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেওয়ার পরেও প্রায় প্রতিদিনই আগুন লাগার দৃশ্য দেখছি।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন যে, হঠাৎ করে একইসঙ্গে এত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে কেন? সেই ঘটনাগুলো আমরা তদন্ত করছি। আমাদের একটা টিম আগে থেকেই কাজ করছিল। যে টিম কাজ করছিল তাদের আগুন লাগার মূল কারণটা কী, উৎসটা কী, তদন্ত করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন- আজ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস
আরেক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘নাশকতা হতে পারে চিন্তা করছি, আমরা মনে করছি কেউ উদ্দেশ্য করে এটা করাতে পারে। তদন্তের পরে আমরা বিস্তারিত বলতে পারব। আমরা এটা নিয়ে চিন্তায় রয়েছি, আমরা এটা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটা নির্দেশনা দিয়েছেন সে অনুযায়ী আমরা কাজ করছি।’
৫৮টি মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘৫৮টি মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে, এই মার্কেটগুলোর ব্যবসায়ীরা যারা আছেন তারা এটার ব্যবস্থা নেবেন। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় মার্কেটগুলো চালাবেন কিনা এটা তারা বলতে পারবেন। আমি মনে করি, অতিসত্বর ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট থেকে ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা অন্যত্র সরিয়ে নেবেন।’