ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন আজ (৬ ডিসেম্বর)। রাজধানী ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সকাল সাড়ে ১০ টায় এ সম্মেলন শুরু হবে।
দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর হতে যাওয়া ছাত্রলীগের এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সম্মেলনকে ঘিরে ইতোমধ্যে সব আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সঞ্চালনায় থাকবেন বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন- সোহরাওয়ার্দীর বিকল্প মাঠের কথা জানালেন তথ্যমন্ত্রী
ছাত্রলীগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এবার সংগঠনের দুই শীর্ষ পদ সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য ২৫৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র কিনেছেন। এর মধ্যে সভাপতি পদের জন্য ৯৬ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য ১৫৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। গত ১ ডিসেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণ ও সংগ্রহ করা হয়।
এদিকে, ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনে যোগ দিতে সারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঢাকায় এসেছেন। সম্মেলনস্থল ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এরইমধ্যে চলেও এসেছেন তারা। মিছিল নিয়ে সম্মেলনের গেটে পৌঁছে ভেতরে ঢোকার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।
বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীদের পাশাপাশি রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও রাজধানীর ওয়ার্ড, থানা ও মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও। এতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশ মুখে ভিড় দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন- বিরামপুরে জাতীয় বস্ত্র দিবস পালিত
এদিকে ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলনে নিজেদের যোগ্যতার জানান দিতে মিছিল নিয়ে সম্মেলনে গেইটে অবস্থান করতে দেখা গেছে সংগঠনের র্শীষ পদপ্রত্যাশীদের। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল শাখার দায়িত্বশীল নেতারাও খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সম্মেলন প্রাঙ্গণে উপস্থিত হচ্ছেন।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ছাত্রলীগের সম্মেলন হয়েছিল ২০১৮ সালের মে মাসে। ওই বছরের জুলাইয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি পদে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক পদে গোলাম রাব্বানী দায়িত্ব পান। তারা পদ হারালে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে সভাপতি পদে আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক পদে লেখক ভট্টাচার্য আসেন। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ‘ভারমুক্ত’ হন তারা।