রোববার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেনের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আমতলী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম মুসা বলেন, ‘উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমানের নির্দেশে আমাদের ওপরে হামলা হয়েছে। মতিউর রহমান তার আধিপত্য দেখাতে গিয়ে ক্যাডার বাদল খানের নেতৃত্বে এ হামলা হয়। এতে আমার ৪০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’
আরও পড়ুন- ভূমিকম্পের পূর্ব প্রস্তুতি না থাকলে দেশ বড় বিপর্যয়ে পড়বেঃ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক সিনিয়র একজন সাংবাদিক বলেন, আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মারামারির ভিডিও ও স্থিরচিত্র ধারণ করতে গেলে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় মঞ্চে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবিরসহ জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তাদের সামনেই সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়েছে। শেষে পুলিশ এসে সাংবাদিকদের রক্ষা করেছে।
এ বিষয়ে বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘আজ রাতেই আহত সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক করবে বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়ন। সেখানে হামলাকারীদের নামে মামলা করার সিদ্ধান্ত আসতে পারে।’
তবে হামলা শেষে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু সাংবাদিকদের শান্ত হতে বলেন। তিনি এ বিষয়টি সমাধান করবেন বলে আশ্বাস দেন।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মিজানুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষে লিপ্ত নেতাকর্মীদের সম্মেলনের স্থান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আহতরা আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে এ ঘটনা এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।