ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি মানি লন্ডারিং মামলায় কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বৃহস্পতিবার প্রায় দুই ঘণ্টা জেরা করা হয় সোনিয়াকে। এর আগে একই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রাহুল গান্ধীকে।
গত জুনে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইডি রাহুল গান্ধীকে পাঁচ দিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। তাকে জেরা করা ৫০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে। এ সময় দিল্লির রাস্তায় বিক্ষোভ করেছিলেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা।
বিশৃঙ্খলা এড়াতে তাই বৃহস্পতিবার কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল গোটা এলাকায়। বন্ধ করে দেয়া হয় আকবর রোড। আটক করা হয় বিক্ষোভকারী দলের সিনিয়র নেতা শশী থারুর, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, শচীন পাইলটসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে।
ইডি সূত্রের খবর, অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর মোনিকা শর্মার নেতৃত্বাধীন বিশেষ তদন্তকারী দল সোনিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
সোনিয়া গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকায় দলের নেতাসহ বেশ কয়েকটি বিরোধীদল তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা টুইট লেখেন, ‘তল্পিবাহক ইডি, কাপুরুষ সিবিআই এবং ইনকাম ট্যাক্স এখন মোদী সরকারের কৌশল, মুখ এবং চরিত্র হয়ে উঠেছে। প্রতিহিংসার রাজনীতিতে জ্বলে ওঠা প্রধানমন্ত্রী মোদি ও তার সরকার কংগ্রেস বা গণতন্ত্রকে ভয় দেখাতে পারেনি, পারবেনা।
‘আমরা দমনে ভীত নই , মাথা নত করব না, আমরা কেবল এগিয়ে যাব। গণতন্ত্রের প্রহরী ন্যাশনাল হেরাল্ড স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতীক। এটা সত্যের লড়াই, তারাই জিতবে।’
সংসদ ভবনে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ করেছেন কংগ্রেসের সাংসদরা। তাদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধীদের কণ্ঠস্বর দমন করতে সংস্থাগুলোর অপব্যবহার করছে।
এর আগে ১২টি বিরোধী দলের নেতারা কংগ্রেস নেতাকে ইডি দপ্তরে ডাকার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেস এই কর্মসূচিতে ছিল না।
বিরোধী দলের মনোনীত রাষ্ট্রপতি প্রার্থী যশবন্ত সিনহাও সোনিয়া গান্ধীর সমর্থনে টুইট করেছেন। ইডি’র পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতাদের হয়রানি করার জন্য ইডি’র মনোভাবের তীব্র নিন্দা জানাই। ইডি কর্মকর্তাদের সোনিয়া গান্ধীর বাড়িতে যাওয়া উচিত ছিল।