বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে দুপুরের পর থেকেই উত্তপ্ত হতে শুরু করে খুলনা মহানগরী। বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা, দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে।
আজ শনিবার (২২ অক্টোবর) খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ বিএনপি নেতাদের।
আজ শনিবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে বৈকালী মোড়ে আদ-দ্বীন হাসপাতালের সামনে ১৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আগুন দেওয়ারও ঘটনা ঘটে।
আগুনের বিষয়ে ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এনায়ের আলী বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থানে আছি। কাউকে মারধর করা হয়নি। বিএনপির কার্যালয় কারা পুড়িয়েছে তা আমাদের জানা নেই।
অপরদিকে নগরীর ৫ নং ঘাট এলাকায় ফুলতলা উপজেলার নেতা-কর্মীদের ট্রলারে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ৩০ থেকে ৩৫ জন নেতা-কর্মী আহত হন। তাদের মধ্যে ২২ জনকে ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- সড়ক নিরাপত্তা টেকসইয়ে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে নগরীর খালিশপুরের বৈকালী বাজার এলাকা থেকে দৌলতপুরের নতুন রাস্তা পযন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার সড়কে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। মোটরসাইকেল নিয়ে ওই সড়কে মহড়া দিতে দেখা যায় নেতা-কর্মীদের। নিউ মার্কেট এলাকাও যুবলীগের একদল কর্মী অবস্থান নেন। তারা মাঝে মাঝে যশোর রোডে বিএনপির নেতা-কর্মীদের দেখলে ধাওয়া দেন। এছাড়াও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের মিছিল করতে দেখা গেছে।
নিউ মার্কেট এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস বলেন, ওই সময় আমি নিউ মার্কেটের ভেতরে ছিলাম। হামলার ব্যাপারে কিছু জানি না।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এসএম শফিকুল আলম মনা বলেন, বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নেতা-কর্মীদের বাধা দেওয়া হয়েছে ও হামলা করা হয়েছে। সমাবেশের আগে ও পরে খালিশপুর জংশনে (বৈকালী) দলীয় কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন। দৌলতপুর থানা বিএনপি অফিস ভাঙচুর করেছে ও আগুন দিয়েছে। এছাড়া ফুলতলা উপজেলা বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীর ওপর হামলা চালানো হয়েছে। পথে পথে নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।