ভোলার চরফ্যাশনে যৌতুক না পেয়ে কুলসুম (২৪) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী সাইফুল ইসলাম নামের একজনের বিরুদ্ধে।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) রাতে উপজেলার চরমানিকা ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া গ্রামের এ ঘটনায় নিহতের শ্বশুর মোঃ কাজল মিয়াকে পুলিশ আটক করেছে। অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম আকতার পলাতক রয়েছেন।
নিহত কুলসুম উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের উত্তরআইচা গ্রামের আব্দুল মজিদ হাওলাদারের মেয়ে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ বছর আগে সাইফুল ইসলামের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় কুলসুমের। তাদের সংসারে একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় কুলসুমকে মারধর করতেন সাইফুল।
কুলসুমের বাবা মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ধারদেনা করে ইতোমধ্যে দুই লাখ টাকা জামাইকে দিয়েছেন। সর্বশেষ দাবি করা যৌতুকের টাকা না পেয়ে বুধবার রাতে কুলসুমকে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করেন সাইফুল।
আরও পড়ুন- লক্ষ্মীপুরে মেয়ের ৮ দিন পর দগ্ধ মায়ের মৃত্যু
একপর্যায়ে গৃহবধূ অজ্ঞান হয়ে পড়লে শ্বশুরবাড়ির লোকজন দক্ষিণ আইচা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক কুলসুমকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবা আব্দুল মজিদ হাওলাদার অভিযোগ করেন, যৌতুকের দাবিতে আমার মেয়েকে বিয়ের পর থেকেই নির্যাতন করত সাইফুল। শুধু মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে অভাবের পরও যৌতুকের দাবি পূরণ করা হয়েছে। সর্বশেষ দাবি করা যৌতুক না পেয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। সাইফুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
দক্ষিণ আইচা থানার ওসি মোঃ সাখাওয়াত হোসেন জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বৃহম্পতিবার সকালে ভোলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। গৃহবধূর স্বামী পলাতক রয়েছেন। তবে শশুর মোঃ কাজলকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।