খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় জেলায় শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচিত হয়েছেন খোন্দকার মোঃ ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত। ২০২২ সালে ২১টি বিভিন্ন ক্যাটাগরির মধ্যে ইউএনও হিসেবে তিনি জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচিত হন।
শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, শিক্ষিকা, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বাছাই কমিটির সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব মংসুইপ্রু চৌধুরী এবং সদস্য সচিব – জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এর স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
তিনি ২০২২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯২০ সালের ঐতিহাসিক সাবেক প্রাচীন মহকুমা শহর রামগড় উপজেলায় নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করেন।
তিনি ৩৩তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের একজন চৌকশ কর্মকর্তা। কর্মজীবনে তিনি পেশাগত প্রশিক্ষনে সাফল্যের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পুরস্কার গ্রহন করেন।
আরও পড়ুন- কাবুলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আত্মঘাতী বোমা হামলা, নিহত ১৯
ইতিপূর্বে তিনি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে একান্ত সচিব পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি বাণীগ্রাম সাধনপুর উ:বি: থেকে এসএসসি, চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এইচএসসি, চট্টগ্রাম প্রকৌশলী ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইইই বিভাগ বি,এসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইউএসসিটিসি থেকে কৃত্তিত্বের সাথে এমবিএ ডিগ্রী অর্জন করেন। কর্মজীবনের শুরুতে একটি বে: বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিন শিক্ষকতার পর পরবর্তিতে বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্ন রিফাইনারি লি: এ যোগদানের পর সর্বশেষ ২০১৪ সালে সরকারী চাকুরিতে যোগদান করেন।
তিনি বাঁশখালীর বাণীগ্রাম নিবাসী সাধনপুর ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান ও মুক্তিযুদ্ধকালীণ ‘গ্রুপ কমান্ডার’ মরহুম খোন্দকার মোঃ ছমিউদ্দীন এর মেঝো ছেলে এবং বর্তমান চেয়ারম্যান কে.এম. সালাহ উদ্দীন কামাল এর ছোট ভাই। তার সহধর্মীনি একজন প্রকৌশলী এবং ৩২তম বিসিএস;(সড়ক ও জনপদ) এ যোগদান করেন এবং বর্তমানে সড়ক বিভাগে উপ- বিভাগীয় প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত এবং এক সময় পিতার চাকুরির সুবাদে রামগড় বালিকা উ: বি: এর ছাত্রী ছিলেন।
শিক্ষাবান্ধব এ কর্মকর্তা শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচিত হওয়ায় উপজেলা পরিষদ, প্রশাসন, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া কমিটি, জন প্রতিনিধি, হেডম্যান-কারবারী, শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষক কমিটি, স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।