ঢাকাSaturday , 13 July 2024

নদী ভাঙন : আতঙ্কে রায়পুরে মেঘনা পাড়ের কয়েক হাজার মানুষ

Link Copied!

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে তিন ইউপির সীমানায় (উত্তর চরবংশী, দক্ষিন চরবংশী ও উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়ন) মেঘনায় পানি বাড়তে শুরু করেছে। তবে অনেক দিকে দেখা দিয়েছে ভাঙন। চোখের পলকেই যেন সবকিছু ভেঙ্গে করে দিয়েছে আগ্রাসী মেঘনা। এতে নদীগর্ভে ভিটেমাটি হারিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকার কয়েক হাজার  মানুষ।

শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, নদী ভাঙন এতই তীব্র যে নদীর পাড়ের মানুষ তাদের ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার সময় পাননা। মেঘনায় পানি দক্ষিন চরবংশী ইউপির মিয়ারহাট (রাহুল ঘাট) পয়েন্টে বিপদ সীমার ৮৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানি বেড়ে যাওয়ায় ইউনিয়নের কাঠমা এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলার দক্ষিন চরবংশী ও উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের চরকাছিয়া, মোল্লারহাট, পানিরঘাট, চরইন্দ্রুরিয়া, চরঘাসিয়া, জালিয়ার চর গ্রামের দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি, ফসিল জমি এবং আলতাফ মাষ্টার ঘাট এলাকা মেঘনা নদীগর্ভে বিলীন হয়। ভাঙনে চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন কয়েক হাজার পরিবার।

সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ‍হুমকির মুখে রয়েছে। রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, অর্ধশত বাড়িঘর ও শত শত হেক্টর ফসিল জমি যেকোনো সময় মেঘনার কড়াল গ্রাসে পড়তে পারে। ওই এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ ঘরবাড়ি-জিনিসপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।

চরকাছিয়া গ্রামের সরদার মাঝি ও মফিজ জানান, কয়েকদিন হলো টানা বৃষ্টি ও মেঘনায় পানি বাড়তে শুরু করেছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র ভাঙন শুরু হয়। পানি কমলে পাড় জেগে উঠে। ওই সময় নদী ভাঙন আরও তীব্র আকার ধারণ করে।

দক্ষিন চরবংশী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু সালেহ মিন্টু ফরায়েজি বলেন, আমার ইউনিয়নের মিয়ারহাট, রাহুল ঘাট, পানিরঘাট, হাজিমারা, চরকাছিয়া গ্রামে মেঘনার  ভাঙন চলছে। হুমকির মুখে পড়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্প ও প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন জানেন। এ ছাড়া নদী ভাঙনে বিলীন হচ্ছে গ্রামে ঘরবাড়ি ও জমি ।

উত্তর চরবংশী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, আমার ইউনিয়নে বেশিভাগ মানুষ খেটে খাওয়া। তারা ত্রাণ বা অন্য কোনো সাহায্য চান না। তারা চান নদী ভাঙন রোধে একটি স্থায়ী সমাধান ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ; যেন তারা নিজ বাড়িতে বসবাস করে নিজের জমি চাষবাস করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন।।

লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুখ আহম্মেদ  বলেন, ভাঙন প্রতিরোধে প্রকল্পের জন্য স্থানীয় সাংসদ এডঃ নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন এর মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্ধ পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে জিও ব্যাগ ফেলা হবে। জিও ব্যাগ ফেললে অনেক স্থাপনা রক্ষা সম্ভব। এই এলাকাটির ভাঙন ঠেকাতে  প্রকল্প হাতে নিবে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) আসনের এমপি অ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, রায়পুরের হাজিমারা থেকে চাঁদপুরের হাইমচর সীমানা পর্যন্ত তীর সংরক্ষণ ও ভাঙন রোধে স্থানীয়দের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া আশ্বাস দেয়া হয়। প্রকল্প গ্রহণের জন্য গত বছর পানিসম্পদ মন্ত্রীকে ডিও লেটার দেয়া হয়েছে।

শীর্ষ সংবাদ

শীর্ষ সংবাদ

সর্বমোট নিউজ: 260

Share this...

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
ঢাকা অফিসঃ ১৬৭/১২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা- ১০০০ আঞ্চলিক অফিস : উত্তর তেমুহনী সদর, লক্ষ্মীপুর ৩৭০০
biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ
  • আমাদেরকে ফলো করুন…