লক্ষ্মীপুরে শিশু লামিয়া হত্যা মামলার আরেক আসামি হারিছ সর্দারকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ।
শনিবার (২২ জুন) রাত ৯টার দিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি শীর্ষ সংবাদকে নিশ্চিত করছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) মোবারক হোসেন।
এর-আগে বিকেলে পুলিশ উপজেলার চর রহমনী মোহন ইউনিয়নের ভূঁইয়ার হাট এলাকা থেকে অভিযুক্ত হারিছ সর্দারকে গ্রেপ্তার করে।
সেই ওই ইউনিয়নের (৩নং ওয়ার্ড) উত্তর চর রহমনী মোহন গ্রামের মৃত রহিম সর্দারের ছেলে।
শিশু লামিয়া ভোলার সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের (১ নম্বর ওয়ার্ড) ভোলার চর (উদয়পুর গ্রামের) আল-আমীনের মেয়ে।
এ মামলার অন্যতম এজারভুক্ত আসামী শাহজালাল মোল্লাকে গত (১৫ মে) গ্রেফতার করে সদর থানার পুলিশ। বর্তমানে সেই কারাগারে রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৪ নভেম্বর (শুক্রবার) সকাল ১০টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়ন ও ভোলার সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী মেঘা নদীর কূল ঘেঁষে জেগে উঠা চর-মেঘায় বসবাসরত বাসিন্দা আল-আমীনের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে চিহ্নিত আলতু ডাকাত ও শাহজালাল মোল্লা ওরফে লেইক্কা। দাবি করা ১০ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় ৫ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) রাত ১০টার দিকে সংঘবদ্ধ ডাকাত আলতু ডাকাত, শাহজালাল মোল্লা, করিম আখন্দ, রশিদ আখন্দ, ইব্রাহিম আখন্দ, ইয়াসমিন আখন্দ, ইসমাইল আখন্দ, আলিমুদ্দিন রাড়ী, মনির মাতব্বর, আলিম মাতব্বর, সাবের মাঝি, আল-আমীন, ফয়সাল, নিজাম মাতব্বর, মোসলেম ফকির, শাহ সর্দার, হারেছ সর্দার, সাইফুল ইয়াছিন মাতাব্বর, এরফান মোল্লা, আলমগীর মাতাব্বর, রাজিব চৌধুরী, গোলাম কিবরিয়া ওরফে খোকন চৌধুরী ও মো. কামাল সর্দার ভুক্তভোগী আল-আমিনের স্ত্রী রানু বেগমের ওপর হামলা করে। রানুকে বাঁচাতে গিয়ে ওইদিন হামলার শিকার হন- মো. মিন্টু খান, মামুন খান, মরিয়ম বিবি, রুমা আক্তার, জাহানারা বেগম ও রানুর কোলে থাকা চার মাসের ছোট্ট শিশু লামিয়া। আহত সবাই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশু লামিয়া।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোবারক হোসেন শীর্ষ সংবাদকে বলেন, হারিছ সর্দার লামিয়া হত্যা মামলায় এজহারভূক্ত আসামী। সে দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে ভূইয়ার হাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আগামীকাল আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য: চলতি বছর (১৩ এপ্রিল) নিহত শিশু লামিয়ার বাবা আল-আমিন ২৪ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায়। এ মামলার অনেক আসামি ধরাছোঁয়ার বাইরে। চিহ্নিত অনেক আসামি এলাকায় থেকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য।