ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে লক্ষ্মীপুরে বৃষ্টি হচ্ছে। রোববার দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টির সাথে ঝড়ো হওয়ায় বইছে। এদিকে, মেঘনার অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি কয়েক হাজার পরিবার।
রামগতির চরআবদুল্লাহ, বয়ারচর, তেলিরচর, চরগজারিয়া, বড়খেরী,কমলনগর উপজেলার লুধুয়া, মাতাব্বরহাট, নাছিরগঞ্জ, রায়পুর উপজেলার চরকাচিয়া ও চরখাসিয়া এবং সদর উপজেলার চরমেঘাসহ ১৫টি এলাকা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরি করে সহায়তা করা হবে।
এছাড়া দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে লক্ষ্মীপুর-ভোলা ও বরিশাল নৌ-রুটে সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় মজুচৌধুরীরহাট ঘাটে আটকা পড়েছে কয়েকশ যাত্রী। শনিবার বিকেল থেকে তারা ঘাটে আটকা পড়ে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে এই নৌ-রুটে চলাচল কারী যাত্রীদের।
এদিকে, মেঘনায় স্বাভাবিকের চেয়ে দুই তিন ফুট পানিবৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন জোয়ার থাকায় পানি আরো বাড়ছে। ইতিমধ্যে উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। ১৮৯টি আশ্রয়ন কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ওই সব আশ্রয়ণ কেন্দ্রে মানুষজন আসতে শুরু করেছে। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ৬৪টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়। খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ রুম।
দ্বীপচর চরমেঘা থেকে রাতে একশ মানুষকে মজুচৌধুরীরহাট আশ্রয়ণ কেন্দ্র নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়। এছাড়া দ্বীপ চর চরআবদুল্লাহ, চরগজারিয়া, বয়ারচর, তেলির চর, চর মেঘা, চরকাচিয়া ও জরঘাসিয়াসহ বিভিন্ন চরাঞ্চল থেকে মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে প্রশাসন নানান উদ্যোগ নিয়েছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায় সাড়ে চারশ মেট্রিক টন চাল ও ২০ লাখ বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। মজুদ রাখা হয়েছে শুকনো খাবার।