ঠাকুরগাঁওয়ে ৪ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য, ২ মাদ্রাসা ছাত্রী অপহরনের মামলায় ১ জন ও একজন ভুয়া সিআইডি গ্রেফতার বিষয়ে জেলা পুলিশের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক।
আরও পড়ুন— লক্ষ্মীপুরে এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নকে সংবর্ধনা
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অ্যাপস) মোঃ আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিথুন সরকার, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ,জেলা পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তা, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী ও জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ।
ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক জানান, গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের গোয়ালপাড়া এলাকার জামিয়াতুল ইসলাহ আলা নাহজিব সাহাবিয়া (রাঃ) বালিকা মাদ্রাসার ২ ছাত্রী নিখোজ হয়। পরে এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরী করা হয়। তারই সুত্র ধরে সদর থানার এসআই (নিঃ) মোঃ এহসানুল কবিরের নেতৃত্বে একটি টিম গাজীপুরের কাশিমপুর থানার সাদরাগঞ্জ এলাকার একটি ফ্যামিলি মেস থেকে ওই ২ ছাত্রীকে উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন— টিআইবি বিএনপির দালালঃ ওবায়দুল কাদের
এ ঘটনায় রংপুর জেলার কাউনিয়া থানার কাজীপাড়া গ্রামের মোঃ মফিজ উদ্দীনের ছেলে মোঃ এরশাদ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। অপরদিকে সদর থানা পুলিশের অভিযানে ডাকাত দলের ৪ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন সদর উপজেলার আরাজি পস্তমপুর গ্রামের দোলোয়ার হোসেনের ছেলে বিপুল ইসলাম (২৪), হরিনারায়নপুর (গোয়াপাড়া) এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩০), বেলতলা গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে মোঃ আনারুল (২৭) ও একই গ্রামের মোঃ রাজুর ছেলে হারুন ইসলাম।
এছাড়াও ভুয়া সিআইডি পরিচয় প্রদানকারী পৌর শহরের মুন্সিপাড়ার একটি বাড়ি হতে মোঃ পলাশ ওরফে মাসুদ রানা (৩৬) কে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান, পুলিশ সুপার।