লালমনিরহাট জেলার তিনটি সংসদীয় আসনে তিনটিতে জয়লাভ করেছে নৌকা মার্কার প্রার্থীরা। বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ছাড়া, শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
বেসরকারি ফলাফলের সুত্রে জানা যায়, ৭ জানুয়ারি (রবিবার) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাটের তিনটি সংসদীয় আসনে নৌকা মার্কা প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
এদিকে লালমনিরহাট ১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান প্রধান সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ১৮ টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত চেয়ে সিইসির নিকট লিখিত আবেদন জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন— আওয়ামী লীগের বিজয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চীনের অভিনন্দন
অপর দু’টি আসনের মধ্যে লালমনিরহাট-২ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল) সিরাজুল হক বিকেল চারটার পর, ৩ নম্বর আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাবেদ হোসেন বক্কর দুপুর দুইটার পর ভোট বর্জন করার ঘোষণা দেন।
ভোট গণনা শেষে (পাটগ্রাম-হাতীবান্ধা) লালমনিরহাট-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী (নৌকা) বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন এমপি ৮৯ হাজার ৯০৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান প্রধান (ঈগল) ৭৪ হাজার ৩২ ভোট পেয়েছেন।
লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী (নৌকা) নুরুজ্জামান আহমেদ ৯৭ হাজার ৪৩৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন— সাইবার হামলার শঙ্কায় সতর্কবার্তা দিল ইসি
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী (ঈগল) সিরাজুল হক ৫১ হাজার ৩৩৮ ভোট পেয়েছেন।
লালমনিরহাট-৩ সদর (নৌকা) মার্কার প্রার্থী অ্যাডঃ মতিয়ার রহমান ৭৬ হাজার ৪০১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল) জাবেদ হোসেন বক্কর ১২ হাজার ৮০৮ ভোট পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, ভোট গ্রহণের পূর্বে লালমনিরহাট হাতীবান্ধায় সানিয়াজান ইউনিয়নে একটি ভোট কেন্দ্রে আগুন, পাটগ্রামের তিনটি কেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণ এবং ভোট চলাকালীন সময়ে ফকিরপাড়া ইউনিয়নে সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনা মধ্যেদিয়ে ভোট গ্রহণ শেষ হয়।