বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালীন গতকাল শনিবার (২৮ অক্টোবর) সংঘর্ষে রাজধানীর ফকিরাপুলে পুলিশ কনস্টেবল মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম পারভেজ নিহতের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী পৌর যুবদলের আহ্বায়ক শামীম রেজা, তাঁকে গাইবান্ধা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং বিএনপি কর্মী মোঃ সুলতান, তাঁকে ডেমরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের এসআই সিরু মিয়া অডিটরিয়ামে নিহত পারভেজের জানাজা সম্পন্ন হয়। পরে গ্রেপ্তারের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোঃ হাবিবুর রহমান।
জানাজা শেষে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাঁদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য যা কিছু করার সব করা হবে। আইজিপি স্যারের নির্দেশে ইতিমধ্যে দু’জন আসামি যারা সরাসরি হত্যাকাণ্ডে জড়িত তাঁদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।’
আরও পড়ুন— দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে যা যা করার আমরা করে যাচ্ছিঃ শেখ হাসিনা
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ কনস্টেবল নিহতের ঘটনায় আমরা শোকাহত। পারভেজের পরিবারের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাই। তার স্ত্রী সন্তানের জন্য যা যা করা দরকার; আমরা সব করব।’
এর আগে এ ঘটনায় রবিবার সকালে ডিএমপির পল্টন থানায় মামলা হয়। পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করে।
নিহত কনস্টেবল আমিরুল পারভেজ ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম শাখায় কর্মরত ছিলেন। তাঁর বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুরে।
গতকাল শনিবার বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালীন দায়িত্ব পালন করছিলেন নিহত আমিরুল। এ সময় বিএনপি নেতা–কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। আমিরুলকে একা পেয়ে তাঁকে বেধড়ক পিটিয়ে হত্যা করা হয়।