লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে গর্ভধারিণী বৃদ্ধা মাকে (৬৫) মারধরের অভিযোগে ছেলে জাকির হোসেনকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ওই মা রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নির্যাতিত বৃদ্ধা মা ফিরোজা বেগম উপজেলার চরআবাবিল ইউনিয়নের চরপক্ষি গ্রামের হায়দরগঞ্জ মডেল কলেজ সংলগ্ন ঢালি বাড়ীর মৃত সেরাজুল হকের স্ত্রী।
আরও পড়ুন— রামগড়ে কার্প জাতীয় মাছের মিশ্রচাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ শুরু
শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাতে এ ঘটনায় রায়পুরের হায়দরগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নির্যাতিত মা ফিরোজা বেগম (৬৫)।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতিত নারীর স্বামী মারা যাওয়ার পর রেখে যাওয়া সম্পত্তির ছেলে মেয়েদের ভাগ করে দেয়া হয়। তার অংশ থেকে একটি গাছ বিক্রি করেন মা ফিরোজা বেগম। এর আগে যখনই গাছের ফল পারতে যান তখনই মাকে অত্যাচার-নির্যাতন করেন জাকির হোসেন। সর্বশেষ শনিবার বিকালে মা একটি গাছ বিক্রি করার প্রস্তুতি নেয়। এতে আপত্তি জানিয়ে পাষণ্ড ছেলে রাস্তার ওপর ফেলে চড় থাপ্পড় দিয়ে অশালীন ভাষায় গালমন্দ করে এলোপাথাড়ি কিলঘুষি মেরে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে ফিরোজা বেগমকে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আরও পড়ুন— সরকার ‘মাস্টারপ্ল্যান’ করে বিএনপির ওপর হামলা করেছেঃ ফখরুল
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৃদ্ধা মা ফিরোজা বেগম বলেন, ‘আমার বড় ছেলে জাকির হোসেন অতীতেও জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে কয়েকবার আমাকে মারধর করে। সে কারণে-অকারণে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায়ই আমাদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালায়। এ নিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে আগেও একাধিক অভিযোগ করেছিলাম। পরবর্তীতে মানবিক কারণে সেইসব অভিযোগ মীমাংসা করেছি।’
এদিকে নির্যাতিত ওই বৃদ্ধা মায়ের অভিযোগ পেয়ে শনিবার রাতেই হায়দরগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির-পরিদর্শক সুরেজিত বড়ুয়া অভিযুক্ত জাকিরকে গ্রেফতার করে। পরে রবিবার দুপুরে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৫১ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে রায়পুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইয়াসিন ফারুখ মজুমদার বলেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’