লক্ষ্মীপুরের রায়পুরেে কলেজ পড়ুয়া হিন্দু ভাতিজিকে শীল্লতাহানী চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ঝাউডুগি সরকার প্রাথমিক স্কুলের সহকারী শিক্ষক রুপম মজুমদারের (৪৮) বিরুদ্ধে। ঘটনা ঘটেছে, সোমবার (২৩ অক্টোবর) রাতে হায়দরগঞ্জ বাজারে ওই শিক্ষকের ভাড়া বাসায় ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাতে রুপমকে আসামি করে রায়পুর থানায় ছাত্রীর মা বাদি হয়ে মামলা করেছেন।। রুপম একই গ্রামের স্বপন কুমার মজুমদারের ছেলে।
এ ঘটনা জানাজানি হওয়ায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন তারা। এদিকে, এ ঘটনার পর থেকে ওই স্কুল শিক্ষক পলাতক রয়েছেন বলে জানাগেছে।
আরও পড়ুন— ২৮ তারিখ ঢাকার কোনো রাস্তা বন্ধ করব নাঃ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তবে স্কুল শিক্ষক রুপম মজুমদার মোবাইল ফোনে বলেন, ‘শীল্লতাহানী চেষ্টার অভিযোগ সত্য নয়। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। মেয়েটি আমার জেঠাতো ভাইয়ের মেয়ে (ভাতিজি)। ঢাকার একটি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। সে গত দুই দিন ধরে আমার মোটরসাইকেলে চড়ে মন্দিরে মন্দিরে ঘুরেছে। আমরা আড্ডা দিয়েছি এবং খাবারও খেয়েছি। কেন এমন মিথ্যা অভিযোগ আনলো বলতে পারছিনা।’
স্কুল ছাত্রীর মায়ের ভাষ্য, ‘স্কুলের শিক্ষক রুপম মজুমদার আমার চাচাত দেবরের হয়। আমাদের কলেজ পড়ুয়া মেয়েটি পুজার ছুটিতে বাড়ীতে বেড়াতে আসছে। এ সুযোগে সহকারী শিক্ষক রুপম মেয়েটিকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাফেরা করে কৌশলে হায়দরগঞ্জে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে শীল্লতাহানী চেষ্টার চালায়। এসময় চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন যাওয়ার আগেই সে পালিয়ে যায়। পরে এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি করে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় প্রভাবশালী মোড়ল ও স্কুল কমিটি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
রায়পুরের সহকারি পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ শাদী বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি। কলেজ ছাত্রীর মা বাদি হয়ে মামলা দিয়েছেন। অভিযুক্ত শিক্ষক রুপম মজুমদারকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।