উল্লাপাড়া পৌরসভার দুই কাউন্সিলরকে মারপিটের অভিযোগে মঙ্গলবার উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোস্তাক আহমেদ মোহন সরকার (৪০) কে আটক করেছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে আরও দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
মোহন সরকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং উপজেলার শাহজাহানপুর গ্রামের বাসিন্দা। অপর আটক দুই ব্যক্তি হলেন, মামুন রহমান (২৯) ও কৃষ্ণ হলদার (৩৫) এদের বাড়ি উল্লাপাড়া পৌরসভার ঘাটিনা মহল্লায়।
জানা যায়, উল্লাপাড়া পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের ঘাটিনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ১৫ অক্টোবর রাতে অনুষ্ঠিত এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সানোয়ার হোসেন ও ইউপি সদস্য মোহনের লোকজন উপস্থিত কতিপয় মেয়ে দর্শকের সঙ্গে খারাপ আচরণ করায় সেখানে গোলোযোগ বাধে। এ সময় ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা উল্লাপাড়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম কামরুল এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর আজিরন নেছা তাদের লোকজনকে গোলোযোগ প্রতিরোধ করার হুকুম দেয়। এতে বিষয়টি মারধরের রুপ নিলে ২ কাউন্সিলর গোলোযোগ মীমাংসার উদ্যোগ নেন।
আরও পড়ুন— আলটিমেটাম দিয়ে লাভ নেইঃ ওবায়দুল কাদের
সোমবার সন্ধ্যায় ২ কাউন্সিলর উল্লাপাড়া শহরে যাওর পথে শাহজাহানপুর খেলার মাঠ সংলগ্ন সড়কের উপর তাদের গতিরোধ করে সানোয়ার হোসেন নেতৃত্বে তার লোকজন উক্ত ২ কাউন্সিলরকে মারধর করে। পরে গত রাতেই ২ কাউন্সিলর সানোয়ার হোসেন ও ইউপি সদস্য মোস্তাক আহমেদ মোহন সরকারের বিরুদ্ধে উল্লাপাড়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
উল্লাপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকালে শাহজাহানপুর ও ঘাটিনা গ্রামবাসী লাঠি-সোঁটা নিয়ে আবার মারামারির প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ঘটনার স্থল থেকে ইউপি সদস্য মোস্তাক আহমেদ মোহন সরকার সহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এদিকে আজ মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে উল্লাপাড়া পৌরসভার মেয়র এস এম নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে সকল কাউন্সিলর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উজ্জল হোসেনের কাছে উক্ত ঘটনায় জড়িত পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন পরিষদেও ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার হোসেন ও ইউপি সদস্য মোস্তাক আহমেদ মোহন সরকারকে অতিদ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য বিষয়টি অবহিত করেন।
