লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মৎস্যচাষী মানিক মোল্লার পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ১২ লাখ টাকার মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে। রবিবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় তার পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে দুর্বৃত্তরা।
সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ভাটরা মোল্লা বাড়ীর মানিক হোসেন তার পাশ্ববর্তী বাড়ির হানিফ মেম্বারের ৯০ শতকের একটি পুকুরে তেলাপিয়া মাছের চাষ করেন। রবিবার রাতে এ বিষ প্রয়োগের ঘটনার পর সোমবার সকালে পুকুর পারে গিয়ে সব মাছ মরে ভেসে উঠতে দেখে হতবাক হয়ে যান মানিক।
ক্ষতিগ্রস্ত মানিক জানান, আমি এই পুকুরে তিন মাস আগে দুই লাখ তেলাপিয়া মাছের পোনা ছেড়েছি। এ সময়ে প্রায় সাড়ে ১২টন খাবার এই মাছগুলোকে খাওয়াইছি। গত রাতে আমার পুকুরে কে বা কারা বিষ ঢেলে দেওয়ায় সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এতে প্রায় ১২ লাখ টাকার মাছ নিধন করা হয়েছে। দুর্বৃত্তরা আমার সব শেষ করে দিয়েছে। আমি রামগঞ্জ থানায় মামলা করার প্রস্ততি নিচ্ছি।
আরও পড়ুন— মুক্তিযুদ্ধের দোহাই দিয়ে সরকার শোষণ করছেঃ চরমোনাই পীর
স্থানীয় ইব্রাহিম মিজি বলেন, ‘মানিক মোল্লা কয়েকটি বড় বড় পুকুর লিজ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষ করে আসছেন। উপজেলায় মৎস্য চাষে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। এখানে বেশ কয়েক জনের কর্মসংস্থানও হয়েছে। কে বা কারা রাতের আঁধারে তার পুকুরে বিষ প্রয়োগ করেছে। এতে পুকুরের মাছ মরে ভেসে উঠেছে। যারা এ কাজ করেছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
১০নং ভাটরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ শামছুল আলম বুলবুল বলেন, ‘এটি একটি অমানবিক কাজ করা হয়েছে। ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। রামগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদ মোস্তফা খালেদ জানান, বিষয়টি জেনেছি কিন্ত এ ব্যপারে আমাদের করনীয় কিছু নেই কারন পানি পরিক্ষা করার যন্ত্র আমাদের কাছে নেই। তাই তাদেরকে থানায় মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি।’
রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ এমদাদুল হক জানান, মাছ মরার বিষয়টি আমি শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা: শারমিন ইসলাম জানান, মৎস্য অফিসারকে ঘটনাস্থলে যেতে বলেছি। এ ব্যপারে মামলা হবে এবং তদন্ত করে অপরাধীদের বের করে আইনের আওতায় আনা হবে, কোন ছাড় দেওয়া হবে না।