biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ XDurbar দূর্বার 1st gif ad biggapon animation বিজ্ঞাপন এ্যানিমেশন biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ
ঢাকাFriday , 29 September 2023
  1. অন্যান্য
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. আইন-বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. কৃষি ও প্রকৃতি
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চাকরি
  10. জাতীয়
  11. ধর্ম
  12. নির্বাচন
  13. প্রবাসের খবর
  14. ফিচার
  15. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
Xrovertourism rovaar ad বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর
  • শেয়ার করুন-

  • Xrovertourism rovaar ad বিজ্ঞাপন
  • রাসুল (সা.)-এর শাসনামলে রাজস্ব আয়ের উৎস

    Link Copied!

    রাসুল (সা.) মদিনায় হিজরতের পর রাষ্ট্রের সংস্কারের কাজে লেগে পড়েন এবং একটি শান্তিময় ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করেন। সুন্দর, শান্তিময়, শৃঙ্খলাময় নীতিমালায় সমৃদ্ধ ছিল এ ইসলামি রাষ্ট্র।

    রাসুল (সা.) নব-প্রতিষ্ঠিত ইসলামী রাষ্ট্রকে সুদৃঢ়ীকরণের জন্য রাজস্ব ব্যবস্থার প্রচলন করেন। তাঁর শাসনামলে রাজস্ব আয়ের বিভিন্ন উৎস ছিল। এই উৎসসমূহের মাধ্যমে তিনি রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সম্পদে জনসাধারণের অধিকার ও ভোগ করার সুযোগ নিশ্চিত করেন। রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নে এবং দেশের প্রতিরক্ষাকে সুরক্ষার ব্যবস্থা করেন।

    আরও পড়ুন-   মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরে যেতে বললেন সিদ্দিকী নাজমুল আলম

    উল্লেখিত খাতসমূহ থেকে উপার্জনকৃত অর্থ গরিব জনগণ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে ব্যয় করতেন। রাষ্ট্রের জন্য বায়তুলমাল প্রতিষ্ঠা করেন এবং কৃষি ও ব্যবসার উন্নতি নিশ্চিত করেন। সেসব উৎস থেকে প্রধান পাঁচটি উৎস নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো- ১. জাকাত, ২.খারাজ, ৩. জিজিয়া, ৪. গনিমত এবং ৫. আল-ফে

    ১) জাকাতঃ

    ইসলামী রাজস্ব ব্যবস্থায় ইসলামী বিধান অনুসারে সচ্ছল মুসলমানদের অবশ্যই প্রদেয় কর হচ্ছে জাকাত। নামাজের পরেই জাকাতের স্থান। জাকাত অর্থ পবিত্রকরণ এবং প্রত্যেক সক্ষম মুসলিমকে তার স্থাবর সম্পত্তির কিয়দংশ রাজকোষ বা বায়তুল-মালে প্রদান করতে হতো। সম্পদশালী মুসলমানদের ওপর জাকাত প্রযোজ্য। বাৎসরিক খরচ বাদে এবং ঋণ বাদে বহনযোগ্য মাল নির্দিষ্ট পরিমাণে পৌঁছালে তার ওপর দেয় কর জাকাত শরয়ী নীতি অনুযায়ী জাকাত বণ্টিত হতো। জাকাত ও সাদকা বাবদ যে অর্থ বা মাল (সংগৃহীত হতো রাসুল (সাঃ)-এর নির্দেশে তার হিসাব কেন্দ্রীয়ভাবে সংরক্ষণ করতেন জোবায়ের ইবনে আল আওয়াম ও যুহাহির ইবনে আল সালাত। পরবর্তীতে মুহাম্মদ (সাঃ) প্রত্যেক অঞ্চলের জন্য স্বতন্ত্র আদায়কারী নিযুক্ত করেন। এই আদায়কারী সাহাবিদের সাময়িকভাবে নিযুক্ত করা হয়। প্রয়োজনে তাদের পারিশ্রমিক দেওয়া হতো।

    আরও পড়ুন-   ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৩১২৩

    জাকাত প্রধানত সোনা, রুপা, খাদ্য-শস্য, গৃহপালিত জন্তু ও বাণিজ্য দ্রব্যের ওপর অর্পিত হতো। নির্দিষ্ট পরিমাণ সোনা-রুপা অথবা সঞ্চিত অর্থের ঊর্ধ্বে সম্পদ থাকলে জাকাত প্রদান বাধ্যতামূলক। ২০০ দিরহামের ঊর্ধ্বে জাকাত প্রদান অপরিহার্য। সেই ক্ষেত্রে শতকরা ২.৫ ভাগ জাকাত দিতে হয়। জাকাত হিসেবে গৃহীত কর বিভিন্নভাবে ব্যয় করা হয়; যেমন- দুস্থ ও অক্ষম ব্যক্তিদের সাহায্যে অভাবগ্রস্তদের অভাব দূরীকরণ, কর আদায়কারীদের বেতন, দাস ও বন্দীদের মুক্তিপণ, ঋণগ্রস্তদের সাহায্যে, জিহাদ ও আল্লাহর পথের পথিকদের সাহায্য। জাকাত হিসেবে প্রদত্ত অর্থকে নিসাব বলে। আয়করের সঙ্গে পার্থক্য এই যে, এটি বাৎসরিক আয়ের ওপর নির্ভরশীল নয়।

    ২) খারাজঃ

    খারাজ বা ভূমি রাজস্ব। অমুসলিম ভূ-স্বামীদের ওপর রাসুলে (সা.) এই কর ধার্য করেন। রোমীয় সাম্রাজ্য (ট্রাইবিউটান সোলি) এবং পারস্যের ‘খাবাগ’ হতে খারাজের উৎপত্তি। রাসুল (সা.) খাইবার যুদ্ধের পর এই ভূমি কর প্রচলন করেন। বিশেষ করে বিত্তশালী ইহুদি সম্প্রদায় ভূমির উৎপন্ন দ্রব্যের অর্ধেক সরকারকে প্রদান করত। ‘খারাজ’’ হতে গৃহীত রাজস্ব সেনাবাহিনীদের বেতনের জন্য খরচ করা হতো।

    ৩) জিজিয়াঃ

    অমুসলমানদের ওপর আরোপিত কর ‘জিজিয়া’ নামে পরিচিত। কোরানের নির্দেশ অনুযায়ী রাসুল (সা.) অমুসলিমদের ওপর এই কর ধার্য করেন। এর পরিবর্তে তারা ইসলামী রাষ্ট্রের জিম্মিতে পরিণত হয় এবং রাষ্ট্রের নিকট হতে জান ও মালের নিরাপত্তা লাভ করত; উপরন্তু, তাদেরকে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হত না। সাধারণভাবে সকল সক্ষম অমুসলমানকে মাথাপিছু এক দিনার ‘জিজিয়া’ দিতে হত। অবশ্য অপ্রকৃতিস্থ, শিশু, অসুস্থ, দরিদ্র ধর্মযাজকদের ‘জিজিয়া’ হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়। জিজিয়ার অর্থ মূলত সেনাবাহিনীর সাজসজ্জা, রসদ ও বেতন বাবদ খরচ করা হত।

    ৪) গনিমতঃ

    যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রু পক্ষের নিকট হতে প্রাপ্ত মালকে গানীমাত বলে। ‘গনিমত’ বা ‘খুমস’ অথবা এক-পঞ্চমাংশ কর যুদ্ধ লব্ধ দ্রব্য-সামগ্রী হতে গ্রহণ করা হত। গনিমত লুণ্ঠিত দ্রব্যাদিকে বোঝায় এবং বিজিতরা যুদ্ধক্ষেত্র হতে যে সমস্ত সম্পদ আহরণ করত তার এক-পঞ্চমাংশ বায়তুল মালে প্রদান করে অবশিষ্ট চার-পঞ্চমাংশ সৈনিকেরা নিজেরা বণ্টন করে নিতেন। এখানেও শ্রেণিবিভাগ ছিল; যেমন- অশ্বারোহী পদাতিক অপেক্ষা দ্বিগুণ অথবা তিনগুণ পেত। এক-পঞ্চমাংশ সম্পদের মধ্যে নবী সা. ও তাঁর পরিবার বর্গ ও অনাথদের ভরণপোষণের জন্য ব্যয় করা হত। এ ছাড়া মুসাফির ও দুস্থরাও কিয়দংশ পেত।

    ৫) আল-ফেঃ

    মুসলিম রাষ্ট্রের আয়ের পঞ্চম উৎস ছিল আল-ফে। বিজিত দেশের আবাদী ভূমির কতকাংশ সরাসরি রাষ্ট্রের দখলে নেয়া হতো। এই ভূমিকে রাষ্ট্রীয় ভূ-সম্পত্তি বলা হতো। এই ভূমি হতে যা আয় হতো তা গরীব-দুঃখীদের মাঝে ও জনহিতকর কাজে ব্যয় করা হতো। বিজিত অঞ্চলে মুসলিম ভূ- স্বামীদের ভূমিকর ‘আল-ফে’ নামে পরিচিত। এই ভূমি রাজস্ব নবিজির আত্মীয়-স্বজন, দুস্থ পরিবার ও মুসাফিরদের মধ্যে বিতরণ করা হত। খারাজ ও আল-ফে-এর মধ্যে প্রভেদ হচ্ছে এই যে, ভূমিকর হওয়া সত্ত্বেও প্রথমটি অমুসলিম এবং পরেরটি মুসলিম ভূস্বামীগণ প্রদান করতেন।

    লেখকঃ শিক্ষক ও অনুবাদক

    শীর্ষসংবাদ/নয়ন

    biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ

    Share this...

    বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
    ঢাকা অফিসঃ ১৬৭/১২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা- ১০০০ আঞ্চলিক অফিস : উত্তর তেমুহনী সদর, লক্ষ্মীপুর ৩৭০০