প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৫০ লাখ টাকা নিয়ে সাহায্য নিয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিতে গেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর- এমন একটি খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) ভাইরাল হয়েছে। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এই খবর শুধু মিথ্যা নয়, এটা একটা নেংরামি। এরই পরিপেক্ষিতে বিএনপির মহাসচিব নামে ফেসবুকে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে ৫০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াশ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ঠাকুরগাঁও জেলা আইনজীবী সমিতি সাধারণ সম্পাদক ও ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন। বাদী হয়ে মোঃ মেহেদী হাসান রনি (২৭) এর বিরুদ্ধে ৫০০/৫০১ ধারায় এ মামলা করেন।
আদালতের বিচারক এস রমেশ কুমার ডাগা মামলাটি আমলে নিয়েছেন।
অভিযুক্ত মোঃ মেহেদী হাসান রনি রংপুর পীরগঞ্জ উপজেলার বাজিদপুর গ্রামের মোঃ আবু বক্করের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি’র মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন।
আরও পড়ুন- স্মার্টফোনে বিজ্ঞাপন বন্ধের উপায়
এজাহারে বাদী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন অভিযোগ করেন, গত ২৭ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মেহেদী হাসান নামে এক ফেসবুক আইডি থেকে বলা হয় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৫০ লাখ টাকা নিয়ে চিকিৎসা করাতে সিঙ্গাপুর গেছেন। সোনালী ব্যাংকের চেকটিতে তারিখ দেওয়া হয়েছে ২০ আগস্টের। আর টাকার পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ৫০ লাখ। দাবি করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের চেক এটি। সেই আইডিতে আরো উল্লেখ করে মেহেদী হাসান লেখেন, ‘সাব্বাস ফখরুল’ নামেও মিছা ফখরুল কামেও মিছা ফখরুল।’
বিবরণে আরও বলা হয়, ‘মর্মে প্রকাশ করে এবং তাঁর উক্ত ফেসবুকে মিথ্যা জ্বাল ও ভূয়া চেকের ছবি মির্জা ফখরুল এবং তার স্ত্রীর ছবি সংযুক্ত করে উক্ত চেক ফেসবুকে ছেড়ে দেন। তার এমন ভূয়া বানোয়াট স্টেটাসে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং তার স্ত্রী দেশ, জাতি ও জনগণের কাছে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন। তাতে মামলার ভিকটিমের অনুমান ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।বিএনপি’র মহা-সচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কিংবা তার স্ত্রী কদাপি সরকার দপ্তর হতে তদরুপ কোন চেক গ্রহণ করেননি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলটির মহাসচিব ঘটনা অস্বীকার করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
মামলার বাদী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীনন বলেন, ‘বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াশ ম্যাজিস্ট্রেট এস রমেশ কুমার ডাগা মামলাটি গ্রহণ করেছেন। মামলার বিষয়ে তিনি পরবর্তীতে নির্দেশনা প্রদান করবেন।’
উল্লেখ্য, গত ২৪ আগস্ট চিকিৎসার জন্য ঢাকা ত্যাগ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী রাহাত আরা বেগম ও মেয়ে মির্জা সাফারুহ।