ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি বলেছে, দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এগিয়ে এলে হঠাৎ করে নোবেলজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে কতিপয় সুযোগসন্ধানী তথাকথিত সুশীলদের পক্ষ থেকে এক ধরনের মাতম তোলা হয়। এবারও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে তার প্রতিফলন দেখা হচ্ছে। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্ব সীমানায় মাতম তোলা হয়েছে।
বুধবার (৩০ আগস্ট) বিকালে ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এগিয়ে এলেই হঠাৎ করে নোবেলজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে এক ধরনের মাতম তোলা হয়। কতিপয় সুযোগসন্ধানী তথাকথিত সুশীলদের পক্ষ থেকে এ মাতাম তোলা হয়। এবারও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পূর্বে তার প্রতিফলন আবারও পরিলক্ষিত হচ্ছে। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে কিন্তু বিশ্ব সীমানায় মাতম তোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন- নাটোরের সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস আর নেই
বিবৃতিতের আরও বলা হয়, ড. ইউনূস শান্তিতে নোবেলজয়ী একজন সম্মানিত বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ। নোবেল জয়ে দেশের সম্মান সুনাম তিনি বয়ে নিয়ে এসেছেন এবং তার জন্য আমরা নিশ্চয় গর্ব অনুভব করি। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের জাতির জন্য যে তিনি নিজেই এমন কিছু বির্তকের জন্ম দিয়েছেন এবং বেআইনি কাজ করেছেন যা তার সৃষ্ট ঘটনা তাকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। গ্রামীণ টেলিকম টেলিনরের সঙ্গে বিতণ্ডা, গ্রামীণ ব্যাংকের পদবি অবৈধভাবে অগঠনতান্ত্রিকভাবে আঁকড়ে থাকা, গ্রামীণ শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন ভাতা বন্ধ রেখেছিলেন যা শ্রম আদালতের নির্দেশে তাকে ফেরত দিতে হয়েছে। সর্বশেষ কর ফাঁকির অভিযোগও তার বিরুদ্ধে এসেছে। সমস্ত ঘটনাই প্রমাণ করে ড. মোহাম্মদ ইউনুস তার নৈতিক মানদণ্ড বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন এবং নিজেকে অবৈধ কর্মপন্থার সঙ্গে যুক্ত করেছেন।
পুঁজিবাদী ব্যবস্থার ধারক ড. ইউনূসকে ঘিরে আমেরিকা ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশের নোবেল বিজয়ী এবং রাজনীতিবিদদের এক জায়গায় করে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য হাসিলের জন্য ১৬০ জনের নামে বিবৃতি প্রদান করে এক বিশেষ চাপ তৈরির চেষ্টা হচ্ছে।
ড. ইউনূসকে মহামানব বানিয়ে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ও গণতন্ত্রকে তারা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে। একজন নৈতিক শৃঙ্খলিত নোবেলজয়ীকে বাংলাদেশের আইনের ঊর্ধ্বে তুলে ধরার অপপ্রয়াস চালাচ্ছেন। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা ক্রমাগত আমাদের দেশের মানবাধিকার ও শ্রমমান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, সেখানে শ্রমিকদের প্রাপ্য টাকা মেরে দেওয়া ব্যক্তি ইউনূসকে সমর্থন করে বক্তব্য রাখা দ্বিচারিতার শামিল। গোটা ঘটনা পর্যালোচনা করলে দেখা যাচ্ছে অসাংবিধানিক কায়দায় বাংলাদেশে একটি নতুন রাজনৈতিক সংকটের জন্ম দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে।