কক্সবাজারের চকরিয়ায় আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত জনতা ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। গোলাগুলিতে ফোরকান উদ্দিন (৬০) নামে জামায়াতের এক কর্মী নিহত হয়েছেন ও পুলিশসহ আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার বায়ততুর শরফ সড়কে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গুলিতে নিহত ফোরকান উদ্দিন চকরিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের আবদুল বারী পাড়ার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইমারজেন্সি মেডিক্যাল অফিসার ডা. সৈয়দ ইফতেখারুল ইসলাম।
সংঘর্ষে পুলিশ ও আশপাশের একাধিক গাড়ি ভাংচুর করেছে জামায়াত কর্মীরা।
আরও পড়ুন- গোবিন্দগঞ্জে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালিত
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৪টায় চকরিয়া সরকারি হাইস্কুল মাঠে সাঈদীর গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হবে মর্মে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার হওয়ায় লোকজন সমাগম হতে থাকে। গায়েবানা জানাজার খবর পেয়ে চকরিয়া থানার পুলিশ অকুস্থলে পৌঁছালে চকরিয়া নিউ মার্কেট এলাকায় উত্তেজিত জনতা ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
এ সময় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া শহরের থানা রাস্তার মাথা থেকে চকরিয়া জনতা শপিং সেন্টার পর্যন্ত সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় পুলিশের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ফলে মহাসড়কে প্রায় আধা ঘণ্টা সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদুল হক জানান, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চকরিয়া উপজেলা কমপ্লেক্সে মোঃ ফোরকানকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। ফোরকানের মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। কীভাবে তার মাথায় আঘাত লেগেছে তা ময়নাতদন্তে জানা যাবে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) মোঃ তৌফিকুল আলম জানান, তিনি চকরিয়া যাচ্ছেন এবং ঘটনার বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শুনেছি একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে আমরা এখনো নিশ্চিত নই।’