ঋতুর বদল, বর্ষায় নেই বাদল
শীত মানে শৈত্য প্রবাহ
সারা বছর চলে তাপদাহ
ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। ঋতুর পালাবদলে গ্রীষ্মের পরে আসে বর্ষা কাল।কিন্তু আসলে কি বর্ষা কাল আসে? বর্ষা কাল মানে উজান থেকে (ভারত) নেমে আসা পাহাড়ি ঢল।
এখন আর মুষল ধারা বৃষ্টি বা আষাঢ়ে বৃষ্টি দেখা যায় না।
বর্ষার পর আসে শরৎ কাল। আমন ধান চাষের উপযুক্ত সময়।
কিন্তু কৃষকের মাথায় হাত! বৃষ্টি নেই; ধানের জমি চাষ করতে হচ্ছে পাম্প চালিত মেশিনের পানি দিয়ে!
তবে গ্রীষ্মের দাপট কিন্তু থেকে যায় শীত অবদি।
শীত মানে কুয়াশার চাদরে মুড়ানো সকাল নয়। শীত আসে শৈত্য প্রবাহ নিয়ে। যা মাঠের ফসল আর মানুষের জীবনে নিয়ে আসে দূর্বিষহ।
অসময়ে খরা, বন্যা, টনের্ডো, ঘূর্ণিঝড়, অতি বৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, শৈত্য প্রবাহের ফলে ছয় ঋতুর দেশ যেন হয়ে যাচ্ছে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের দেশ।
বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার রেকর্ড যেন বার বার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
আমরা কি কখনো এগুলো নিয়ে ভেবে দেখি?
নাকি নিজেদের কে শহুরে কীট তৈরিতে ব্যস্ত।
প্রকৃতি তার রূপ একদিনে বদলায়নি। আমরা তাকে বদলাতে সাহায্য করেছি প্রতিনিয়ত।
আমরা সচেতন হলে বাচাঁতে পারি পরিবেশের এমন বিপর্যয়কে।
আসুন আমাদের ব্যবহৃত পলিথিন বা প্লাস্টিক রিসাইকেল করি। না হলে ব্যবহার বন্ধ করি।
পরিবেশ বান্ধব দেশি পণ্য ব্যবহার করি সচেতন করি সবাইকে।
বেশি করে গাছ লাগাই, বিশুদ্ধ বায়ুর প্রয়োজনে।
লেখাঃ তানজিনা বেগম
ব্যবস্থাপকঃ দূর্বার ও দূর্বার ক্রাফট