উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণের ফলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে গিয়ে নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে (তিস্তা ব্যারাজ) বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এতে তিস্তাপাড়ে আবারও বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি আরও বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রমের আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ভারী বৃষ্টিপাত আর উজানের ঢলে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে বৃহস্পতিবার সকালে ৯টায় ৫২ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার এবং দুপুর ১২টায় ৫২ দশমিক ৯ সেন্টিমিটার পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে। আর দশমিক ৬ সেন্টিমিটার উঠলেই এটিকে বিপৎসীমার ওপরে ধরা হবে। এই পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার।
আরও পড়ুন- জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নতুন নিয়ম
এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার নদীপাড়ের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে বেশ কয়েকটি চরের বাসিন্দারা। ডুবে গেছে বোরো ফসলের খেত। চরাঞ্চলের কিছু রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
উপজেলার কিসামত চরের বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘নদীতে পানি বাড়লেই চরাঞ্চলের মানুষ বন্দী হয়ে পড়ে। রাত থেকে পানি বাড়ছে তিস্তাপাড়ে। বন্যার আশঙ্কা করছি।’
টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন, ‘পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তাপাড়ের মানুষ বন্যার আশঙ্কায় সতর্কাবস্থায় রয়েছে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা বলেন, ‘উজানের ঢলে আর বর্ষণে তিস্তার পানির প্রবাহ বেড়েছে। সবগুলো জলকপাট খুলে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। বিপদসীমা অতিক্রম না করলেও ছুঁই ছুঁই করছে। তবে আপাতত বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই।’