শরীয়তপুর চন্দ্রপুরে গৃহবধূ রত্না (২০) সাত মাসের শিশু সন্তান রেখে গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যু বরণ করেছে। গৃহবধূ রত্না শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের উত্তর চন্দ্রপুর সরদার বাড়ির মতিউর সরদার এর ছেলে নাহিদ সরদার (২৪) স্ত্রী এবং মানিকগঞ্জ জেলা সদরের রকিবুল ইসলাম রতন এর মেয়ে। গৃহবধূ রত্না মৃত্যু নিয়ে চলছে মহল্লায় নানান আলোচনা-সমলোচনা। এই রহস্য উদঘাটনে তদন্তে নেমেছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রইম অব অপস বদিউজ্জামান।
শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে গৃহবধূ রত্নার বাবা রকিবুল ইসলাম রতন জানান, রত্নার শুশুর, শাশুরি তা মেয়েকে মেরেছে। কিছুদিন আগে তার মেয়ে জামাই নাহিদ একটি মটর সাইকেল কিনে চাইলে তিনি (রত্নার বাবা) জামাইয়ের কাছে কিছুদিন সময় চান জামাইকে বুঝান যে কিছুদিন আগে রত্নার সন্তার প্রসবের সময় প্রায় দেড় লাখ টাকার মতো খরচ হওয়ায় তার হাতে বর্তামন তেমন কোনো অর্থ নেই যা দিকে জামাইকে মোটর সাইকেল কিনে দিতে পারবেন।
তিনি বলেন, তারা আমার মেয়ের মোবাইল কেরে নেয়ায় আমার মেয়ের সাথে যোগাযোগ করতি পারছিলাম না! এর মধ্যেই আমার মেয়ের এক প্রতিবেশির ফোন পেয়ে আমরা জানতে পারি আমাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।’
আরও পড়ুন- মাধবপুরে শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উৎযাপন
তিনি আরও বলেন, ‘এলাকাবাসী বলতেছে, আপনার মেয়ে কখনোই আত্মহত্যা করতে পারে না। তিন দিন ধরে,আ পনার মেয়েকে মারতেছে। ওর স্বামী ঢাকা থাকে চার দিন আগে এসেছে। আসার পর থেকেই ওর শাশুড়ি আর জামাই ধরে মারতাছে। তারা মাইরা-ধইরা ঐ ঘরে গামছা দিয়া ঝুলাইছে। আমার মেয়ে যেখান থেকে ফাঁসি নিয়েছে, সেখান থেকে আমার মেয়ের হাইট আরো উঁচা। আমার মেয়ের শরীরে জখম, মাথায় জখম, বিভিন্ন জায়গায় এমন জখমের চিহ্ন দেখছি। পরে আমরা থানায় মামলা করতে গেলে ওসি সাহেব বলে, লাশের ডিএনএ আসুক, এই আসুক, সেই আসুক! পরে আমরা ডিসি সাহেব এর শরণাপন্ন হই। পরে-ডিসি সাহেব ওসি সাহেবকে ডাকানোর পরে ওসি সাহেব এই মাত্র সরেজমিনে তদন্তে গেলো। এখন মামলার প্রক্রিয়া চলতেছে।’
এ বিষয়ে দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রইম অব অপস বদিউজ্জামান বলেন, ‘আমার এখানে দুইটা ফাঁড়ি আছে, চিকন্দি ফাঁড়ি ও সন্তোষপুর ফাঁড়ি। দুইজন ইনচার্জ আছে। তারপরেও এই ঘটনায় আমি এসেছি রহস্য উন্মোচন করতে। তদন্তের স্বার্থে এখন কিছু বলা যাবে না।’