কক্সবাজারে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) শীর্ষ সন্ত্রাসী ও উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্প এলাকার সামরিক কমান্ডার হাফেজ নূর মোহাম্মদের আরও ৫ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শনিবার (২২ জুলাই) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে র্যাব-১৫ কক্সবাজার সদর দপ্তরে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ধলা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ হোসেন জোহার (৩০), ওবায়দুর রহমানের ছেলে মোঃ ফারুক ওরফে হারেস (২৩), জমলুকের ছেলে মনির আহাম্মদ (৩৬), অলি আহাম্মদের ছেলে নূর ইসলাম (২৯) ও হোসেনের ছেলে মোঃ ইয়াছিন (২১)।
শুক্রবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যায় নুর মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার করার পর তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্যান্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১টি ৭.৬৫ এমএম পিস্তল, ১টি বিদেশি রিভলবার, ১টি শর্টগান, ৪টি দেশীয় এলজি, ৩টি দেশীয় রামদা ও গোলাবারুদসহ নগদ ৭০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন- নাটোরে শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা, বৃদ্ধকে আটক
খন্দকার আল মঈন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজারে বসবাসরত মিয়ানমার নাগরিকদের ক্যাম্প ও আশপাশের অন্যান্য এলাকায় খুন, অপহরণ, ডাকাতি, মাদক, চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্রিক কোন্দলসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। গহীন পার্বত্য এলাকায় ‘আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি’ (আরসা)’ সহ বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রুপের এ সকল কর্মকাণ্ডে রোহিঙ্গা ও স্থানীয়রা আতঙ্কিত।
তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃত হাফেজ নুর মোহাম্মদ একজন রোহিঙ্গা এবং ক্যাম্পে অন্যতম সামরিক কমান্ডার হিসেবে ‘আরসা’র নেতৃত্ব প্রদান করতেন। তার নেতৃত্বে ‘আরসা’র ৩০-৩৫ জন সদস্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালচ্ছিলো। তারা পাশের দেশ থেকে দুর্গম সীমান্তবর্তী অঞ্চল দিয়ে অস্ত্র চোরাচালান করতো। তারা স্থানীয় জনগণের কাছ থেকে খুন, অপহরণ ও গুমের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি করতো। চাঁদার অর্থ না পেলে ভিকটিমকে অপহরণ করে শারীরিক ও পাশবিক নির্যাতনসহ মুক্তিপণ আদায় করতো। মুক্তিপণ না পেলে তারা ভিকটিমকে খুন করে গহীন পাহাড়ে অথবা জঙ্গলে লাশ গুম করতো।
তিনি আরও জানান, তারা মাদক ব্যবসায়ীদের নির্দিষ্ট চাঁদার বিনিময়ে সহযোগিতা করতো। তারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম শেষে পাহাড়ি গহীন জঙ্গলে আত্মগোপনে চলে যেতো। তাদের অত্যাচারে শরণার্থীরা সবসময় ভীত সন্ত্রস্ত থাকতো। কেউ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে তারা তাকে প্রকাশ্যে গুলি করতো। তারা বেশ কয়েকদিন ধরে আত্মগোপন করে টেকনাফ থানাধীন শামলাপুরে অবস্থান করছিলো।