biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ XDurbar দূর্বার 1st gif ad biggapon animation বিজ্ঞাপন এ্যানিমেশন biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ
ঢাকাTuesday , 18 July 2023
  1. অন্যান্য
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. আইন-বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. কৃষি ও প্রকৃতি
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চাকরি
  10. জাতীয়
  11. ধর্ম
  12. নির্বাচন
  13. প্রবাসের খবর
  14. ফিচার
  15. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
Xrovertourism rovaar ad বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর
  • শেয়ার করুন-

  • Xrovertourism rovaar ad বিজ্ঞাপন
  • কিশোরগঞ্জে বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশের গুলি, সাংবাদিকসহ আহত শতাধিক

    Link Copied!

    পদযাত্রা কর্মসূচিতে কিশোরগঞ্জে পুলিশের সাথে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে পুলিশ লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুড়ে এবং বিএনপির নেতাকর্মীরা পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

    মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা শহরের রথখোলা এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

    ঘটনার সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দৈনিক মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার আশরাফুল ইসলাম ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি খাইরুল আলম ফয়সাল আহত হয়েছেন।

    বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষে দলটির শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়েছে অন্তত ৩০ জন।

    গুলিবিদ্ধ যাদের নাম পাওয়া গেছে তারা হলেন জেলা বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক ফইজুল করিম মুবিন, জেলা যুবদলের সভাপতি খসরুজ্জামান শরীফ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মুস্তাক আহমেদ শাহিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সুমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আলী মোস্তফা তাজবির, সাংগঠনিক সম্পাদক তারিকুজ্জামান পার্নেল, পল্লী ও সমবায়-বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার মুসা তানহা, নিকলী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান, সদর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব সৈয়দ শাহ আলম, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাফিউল ইসলাম নওশাদ, পাকুন্দিয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাজহারুল হক উজ্জ্বল।

    তবে এ ঘটনায় পুলিশের কেউ আহত হয়েছে কি-না মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৫টা পর্যন্ত তা জানায়নি পুলিশ।

    ঘটনার পর পুলিশ বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করেছে বলেও জানা গেছে।

    ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রথখোলা এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিএনপির পদযাত্রাটি পৌরসভা কার্যালয়ের সামনের সড়ক ধরে আখড়া বাজার হয়ে রথখোলা এলাকার নূর মসজিদের সামনে গেলে সেখানে অবস্থানরত পুলিশ সদস্যরা পদযাত্রাটি থামিয়ে দেয়। বাধা উপেক্ষা করে বিএনপি নেতাকর্মীরা সামনে এগিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে। তখন বিএনপির নেতাকর্মীরা কিছুটা পিছু হটে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। জবাবে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুড়তে থাকে পুলিশ সদস্যরা। এসময় বিএনপি নেতা-কর্মীরা এদিক-ওদিক ছুটতে থাকে।

    আরও পড়ুন-   ‘বিশেষ প্রণোদনা’ প্রজ্ঞাপন জারি, ১ জুলাই থেকে কার্যকর

    ঘটনার সময় পুলিশ অন্তত কয়েক শ’ রাউন্ড গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। তবে ঠিক কত রাউন্ড গুলি ও টিয়ারশেল ব্যবহার করা হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানায়নি পুলিশ কর্মকর্তারা।

    বিএনপির সূত্রে আরো জানা গেছে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি ছিল মঙ্গলবার। দুপুর ১২টায় শহরের গুরুদয়াল সরকারি কলেজ মাঠ থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা কর্মসূচি শুরু করে। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে রথখোলা এলাকায় আসা মাত্র সংঘর্ষ শুরু হয়।

    এতে নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম। এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, সহসভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান ইকবালসহ জেলা বিএনপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পদযাত্রা ঘিরে শহরে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পদযাত্রা শুরুর আগে বিভিন্ন উপজেলা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল গুরুদয়াল সরকারি কলেজ মাঠে এসে জড়ো হয়।

    পরে সেখান থেকে পদযাত্রাটি শুরু হয়। পদযাত্রাটি রথখলা এলাকায় এলে পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে পড়ে। পুলিশ নেতাকর্মীদের রথখলা মাঠে গিয়ে কর্মসূচি শেষ করার তাগিদ দেয়। কিন্তু নেতাকর্মীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শহর প্রদক্ষিণ করতে চাইলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের কিছু অংশ বাধা উপেক্ষা করে এগিয়ে যায়।

    আর পুলিশের দিকে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। তখন পুলিশও শটগান থেকে ফাঁকা গুলি চালাতে থাকে। চলতে থাকে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। তখন পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আতঙ্কে ওই এলাকার দোকানপাট বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচলও। এভাবে দফায় দফায় চলতে থাকে সংঘর্ষ।
    পুলিশ বলছে, বিনা কারণে পুলিশের ওপর হামলা চালায় বিএনপির লোকজন। তাদের মধ্যে অতিউৎসাহী নেতাকর্মীদের মারমুখী আচরণের কারণে এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।

    জেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ শরীফুল আলম বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল গুরুদয়াল কলেজ থেকে পদযাত্রা শুরু করে শহরের সবগুলো সড়ক প্রদক্ষিণ করা। আমাদের শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় বিনা উস্কানিতে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। সড়কে বেরিকেট দিয়ে রেখেছে। নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করেছে। এতে আমাদের শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। অনেক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। গুলিবিদ্ধ অনেকের অবস্থা খুবই গুরুতর। কয়েকজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে নেতা-কর্মীরা চিকিৎসা নিচ্ছে। মামলা-হামলা ও পুলিশ দিয়ে গুলি করে এ সরকার টিকে থাকতে চাইছে। আমাদের এক দফা কর্মসূচি শুরু হয়ে গেছে। এ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ছি না।’

    কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাক সরকার সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির পদযাত্রাটি প্রথমে শান্তিপূর্ণই ছিল। পুলিশ তাদের ওই কর্মসূচিতে সহযোগিতা করছিল। কিন্তু রথখলা এলাকায় পদযাত্রাটি গেলে আমরা তাদের রথখলা মাঠে গিয়ে কর্মসূচিটি শেষ করার অনুরোধ করি। বিএনপির নেতারা বলেছিলেন, তারা গুরুদয়াল সরকারি কলেজ থেকে কর্মসূচি শুরু করে রথখলা মাঠে গিয়ে শেষ করবেন। পুলিশ এভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু তারা সে কথা না রেখে শহরের আরো ভেতরে ঢুকে যাওয়ার চেষ্টা করলে আমরা তাদের বাধা দিই। কিন্তু অতিউৎসাহীরা হঠাৎ পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। পরে পুলিশ নিরাপত্তার স্বার্থে ফাঁকা গুলি ও লাঠিচার্জ করে।

    তিনি জানান, বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ইটপাটকেলের আঘাতে আহত হয়েছেন। ঠিক কতগুলো গুলি করা হয়েছে তার হিসাব করা হয়নি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

    শীর্ষসংবাদ/নয়ন

    biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ

    Share this...

    বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
    ঢাকা অফিসঃ ১৬৭/১২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা- ১০০০ আঞ্চলিক অফিস : উত্তর তেমুহনী সদর, লক্ষ্মীপুর ৩৭০০
    biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ  
  • আমাদেরকে ফলো করুন…