যশোর সদর উপজেলার যশোর-মাগুরা মহাসড়কের লেবুতলা এলাকায় বাস ও ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ইজিবাইকে থাকা শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজনসহ সাতজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
শুক্রবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে যশোর-মাগুরা মহাসড়কের এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন যশোর সদর উপজেলার সুলতানপুরের সাইফুল ইসলামের ছেলে ইজিবাইক চালক ইমরান হোসেন (২৭), তার চাচি আনোয়ারা বেগম (৭০), বাঘারপাড়া থানার যাদবপুর গ্রামের একই পরিবারের সদস্য খাদিজা (৭), রাহেলা (৩২), সোনিয়া (২১), হাসান (১) ও অজ্ঞাত আরও এক যাত্রী।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
মাগুরাগামী রয়েল কোচ নামের একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লেবুতলা বাজারে রাস্তার ওপর একটি ইজিবাইককে চাপা দিয়ে উল্টে যায়। এ ঘটনায় ইজিবাইকের চালকসহ ৮ যাত্রী বাসের নিচে চাপা পড়ে।
আরও পড়ুন- রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই পক্ষের গোলাগুলি, নিহত ৫
খবর পেয়ে যশোর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আসিফ মোহাম্মদ আলী হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, মরদেহগুলো হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
দুর্ঘটনার পরপরই যশোর-মাগুরা মহাসড়কে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়। রাস্তার উভয়পার্শে সৃষ্টি হয় গাড়ির লম্বা লাইন।
প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টার পর ট্রাফিক পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করলে পুনরায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই রুটে যান চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে যশোর ট্রাফিক বিভাগের ইন্সপেক্টর শুভেন্দু কুমার জানান।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) বেলাল হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লেবুতলা এলাকায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে যশোর থেকে মাগুরাগামী একটি বেপোরোয়া গতির লোকাল বাস মাগুরামুখী একটি যাত্রীবোঝাই ইজিবাইককে চাপা দেয়। এ ঘটনায় একই পরিবারের পাঁচজনসহ মোট সাতজন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে।
তিনি আরও জানান, নিহতদের মরদেহ যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।