অবিরাম বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা উজানের পানির ঢলে কুড়িগ্রামের সবগুলো নদ-নদীর পানি আবারো বাড়ছে। গত তিনদিন ধরে নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি চলে এসেছে। তবে স্বাভাবিক বন্যা পরিস্থিতিতে নিম্নাঞ্চলসমূহ প্লাবিত হয়েছে। ফলে ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদের চর ও দ্বীপচরসমূহের অনেক ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে তীব্র হচ্ছে নদী ভাঙন। তিস্তার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ঘর বাড়ি, ফসলি জমি। কুড়িগ্রামে ধরলার ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে মুজিব কেল্লা।
তবে কুড়িগ্রামে নদ নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেলেও তা এখনও বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।
মঙ্গলবার দুপুর তিনটায় স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সবগুলো নদ-নদীর পানি আরো বেড়েছে। বেশি বেড়েছে ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমার নদে। ধরলা নদীর শিমুলবাড়ি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৫২ সেমি, দুধকুমার নদের পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৫৪ সে.মি ও তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৬ সে.মি নিচ দিয়ে বইছে।
আরও পড়ুন- কুড়িগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
ব্রহ্মপুত্র নদসহ নদনদীর অন্য পয়েন্টগুলোতেও পানি ক্রমেই বাড়ছে। আর পানি বাড়ার কারণে এসব চরের মানুষজন পড়েছেন বিপাকে।
উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা চরের বাসিন্দা মোজাফফর আলী বলেন, “দুদিন থাকি পানি যেভাবে বাড়ছে এতে ঘরত পানি উঠতে শুরু করছে। আমরা ফির বন্যাত পড়ি যাচ্ছি।”
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, উজানের পানির ঢলে কুড়িগ্রামে নদনদীর পানি ক্রমেই বাড়ছে। এভাবে বাড়তে থাকলে আগামী ৫-৬ দিনের মধ্যে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি বিপৎসীমা ক্রস করতে পারে এবং বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। তবে আপাতত বন্যার কোন আশংকা নেই বলে জানান তিনি।
এদিকে, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাঈদুল আরীফ জানান, বন্যা পরিস্থিতিতে বন্যার্তদের সার্বিক মজুদ রয়েছে এমন শুকনো খাবার, চাল, টাকা এর কোন সংকট নেই। যেখানে যেমন প্রয়োজন হবে আমরা জেলা প্রশাসন থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী তেমন দ্রুত প্রদান করতে সচেষ্ট রয়েছি।