চাহিদার তুলনায় সরবরাহ ও উৎপাদন কমের অজুহাতে সিরাজগঞ্জে উল্লাপাড়ায় কাঁচা মরিচের দাম বেড়েই চলছে। উপজেলার খুচরা বাজারে মরিচের দাম কেজি প্রতি ৬’শ টাকা হলেও পাইকারি বাজারে এর দাম ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকা। অতিরিক্ত দামেও মাঝে মধ্যে খুচরা বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না কাঁচা মরিচ।
এদিকে, লাগামহীন কাঁচা মরিচের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। তবে বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসবে।
রবিবার উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেলা বাড়ার সাথে সাথে কাঁচা মরিচের দাম ওঠানামা করছে। ৫’শ ৩০ টাকার কাঁচা মরিচ বেলা ২টার দিকে ৬’শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। হঠাৎ করে কাঁচা মরিচের এমন অস্বাভাবিক দাম বাড়ার কারণ বলতে পারছেন না অধিকাংশ খুচরা ব্যবসায়ী। কেউ কেউ অভিযোগ করছেন, কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানো হচ্ছে।
অন্যদিকে পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টিতে কাঁচা মরিচের খেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উৎপাদন কম হওয়ায় বাজারে সরবরাহ কম।তাছাড়াও চলতি বছর জুড়েই উৎপাদন কম হয়েছে। সবকিছু মিলেই কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে গেছে।
উল্লাপাড়া আর.এস বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রেতা কামাল হোসেন জানান, সকালে বেড়া বাজারের আড়তে থেকে ৫’শ টাকা দরে পাইকারি কাঁচা মরিচ কিনেছেন তারা। সেই মরিচ খুচরা হিসাবে ৫’শ ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- দেশে পৌঁছেছে ৯৩ টন কাঁচা মরিচ, আসবে প্রায় ৩৭ হাজার টন
উল্লাপাড়া বাজারের খুচরা বিক্রেতাসমোঃ মিজানুর রহমান জানান, অন্য কোনো মোকামে কাঁচা মরিচ না পাওয়ায় সিরাজগঞ্জ জেলার সব খুচরা বিক্রেতা পাবনার বেড়া বাজার থেকে কাঁচা মরিচ কেনায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়ে গেছে। এ ছাড়াও অতি বৃষ্টিতে উৎপাদন কম হওয়ায় বাজারে দাম বেড়ে গেছে।
উল্লাপাড়া বাজারে কাঁচা বাজার করতে আসা মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বেশী। তই হাফ কেজির স্থলে আরাইশো গ্রাম মরিচ ১৬০ টাকা দিয়ে ক্রয় করেছি। আমার জিবনেও এতো দামে কোন দিন মরিচ কিনিনি।
উল্লাপাড়া উপজেলার সব বাজারেই উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। তবে বিক্রেতারা সবাই বলছে উৎপাদন কম হওয়ায় বাজারে মরিচের সরবরাহ কম।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উজ্জল হোসেন বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে মরিচের উৎপাদন কম হয়েছে। ফলে বাজার গুলোতে মরিচের দাম ঊর্ধ্বমুখী। তবে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে বাজার মনিটরিং করা হবে।