গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুরে লুৎফা বেগম (৬০) নামে এক নারীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (১ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের জলেরমোড় এলাকার নিজ বাড়ির উঠান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃদ্ধা লতিফা বেগম ওই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী।
গাইবান্ধার সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্বজনরা জানান, স্বামী মোহাম্মদ আলী শুক্রবার (৩০ জুন) মেয়ের বাড়ি দিনাজপুর যাওয়ায় বাড়িতে একাই ছিলেন লতিফা বেগম।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, মোহাম্মদ আলীর দুই মেয়ে ও এক ছেলে। তারা কেউই বাড়িতে থাকেন না। মোহাম্মদ আলী গত শুক্রবার (৩০ জুন) কোরবানির গোসত নিয়ে দিনাজপুরে মেয়ের বাড়িতে যাওয়ায় বাড়িতে একাই ছিলেন লতিফা বেগম।
শনিবার (০১ জুলাই) বিকেলে পাশের বাড়ির লোকজন লতিফার গলাকাটা লাশ বাড়ির উঠানে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন- সিন্ডিকেট করলে কাঁচা চামড়া রপ্তানি করা হবেঃ বাণিজ্যমন্ত্রী
স্থানীয়দের ধারণা ঈদের আগে মোহাম্মদ আলী মোটা অংকের টাকার গরু বিক্রি করেছিলেন। হয়তো সেই টাকা লুট বা চুরি করতে এসে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করেছে।
গাইবান্ধার সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, স্থানীয়রা জলের মোড়ের এক বাড়িতে নারীর গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে সদর থানা পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা মর্গে পাঠনো হয়েছে। তবে কী কারণে তাকে গলা কেটে করে হত্যা করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কারো প্রতি নিহতের পরিবারের সন্দেহ হয়নি। কিংবা কারো সঙ্গে তাদের এমন শত্রুতা নেই যে হত্যা করবে। প্রাথমিক তদন্তে ওই বাড়ি থেকে কোনো নগদ অর্থ কিংবা মূল্যবান কোনো সম্পদ খোয়া যাওয়ার আলামত পাওয়া যায়নি। পারিপার্শ্বিক অবস্থা, পরিবার ও স্থানীয়দের মন্তব্য সব কিছুই গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে হত্যার সঠিক কারণ উদ্ঘাটনে কাজ করছে পুলিশ। ময়নাতদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।