নাটোরে দিঘি থেকে শিহাব হোসেন (২৬) নামের এক যুবকের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের ধাওয়া থেকে বাঁচতে পানিতে ঝাঁপ দিয়েই মৃত্যু হয়েছে শিহাবের।
গতকাল শনিবার (২৪ জুন) রাতে শহরের চৌকিরপাড় এলাকায় জয়কালী দিঘি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। শিহাব শহরের বড় হরিশপুর এলাকার সোবাহান আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (২৩ জুন) রাতে কয়েকজন বন্ধুসহ শিহাব জয়কালী দিঘির পাড়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় সদর থানার পুলিশের একটি টহল টিম তাদের ধাওয়া দেয়। এতে বসে থাকা সবাই দৌড়ে পালিয়ে গেলেও শিহাব দিঘিতে ঝাঁপ দেয়। পুলিশ চলে যাওয়ার পর অন্য বন্ধুরা শিহাবের খোঁজ করতে সেখানে ফিরে আসেন। অনেক খুঁজেও ওই রাতে শিহাবের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন- ত্রিশ লাখ টাকার সেতুতে চলে না যানবাহন
শিহাব পানি থেকে উঠে বাড়িতে চলে গেছে ভেবে চলে যান তার বন্ধুরা। পরদিন শনিবার সকালে বন্ধুরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন শিহাব বাড়ি ফেরেনি। পরে গতকাল মধ্যরাতে দিঘির পাশের বাসিন্দারা শিহাবের ভাসমান মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দিঘি থেকে শিহাবের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে।
শিহাবের বাবা সোবাহান আলী বলেন, ‘বন্ধুদের থেকে শুনেছি পুলিশ ধাওয়া দিলে আমার ছেলে দিঘিতে ঝাঁপ দেয়। আমার ছেলেতো কোন অপরাধ করেনি। তবে কেন পুলিশ ধাওয়া দিলো? পুলিশ ধাওয়া না দিলে ছেলে আমার বেঁচে থাকত। আমার এই ছেলের মৃত্যুর জন্য পুলিশকেই দায়ী করছি। আমি এ ঘটনা জড়িতদের বিচার দাবি করি।’
সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম জানান, ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কীভাবে শিহাবের মৃত্যু হয়েছে তা ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর জানা যাবে। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে দিঘিতে ঝাঁপ দেওয়ার বিষয়ে তার কাছে কোন তথ্য নেই বলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।