হবিগঞ্জের মাধবপুরে যেন বাসভবনে রুপান্তর হয়েছে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক। দিবারাত্রি ২৪ ঘণ্টাই চলছে বৈদ্যুতিক পাখা ও বাতি।
সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার ১০নং ছাতিয়াইন ইউপির শিমূলঘর গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রতিনিয়তই অনিয়ম করে যাচ্ছে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। দিবারাত্রি চলছে বৈদ্যুতিক বাতি ও পাখা। ৩ দিন পর্যন্ত দিবারাত্রি বৈদ্যুতিক বাতি ও পাখা ঘুরতে থাকলে গ্রামবাসির খবরে শনিবার (১০ জুন) রাত সাড়ে ৮ টার সময় ক্লিনিকের দায়িত্বে থাকা সেলিনা আক্তারের পক্ষে এক মহিলা বাতি ও পাখা বন্ধ করতে আসেন।
এ সময় স্থানীয় ক্ষিপ্ত জনতার মুখে পড়েন ঐ মহিলা। পরে এ নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশিত হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এই বিষয়ে শিমূলঘর গ্রামের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ক্লিনিকের পাশে বাড়ি থাকার কারনে ক্লিনিকের দায়িত্বে থাকা সেলিনা আক্তার নিজের প্রভাব খাটিয়ে তার খুশিমতই কাজ করে যাচ্ছে। এই কমিউনিটি ক্লিনিক যেন তার বাস ভবনের মত। প্রতিনিয়ত এমন কর্মকান্ড করে যাচ্ছে সেলিনা আক্তার। শুধু তা-ই নয় ঔষধ নিতে আসা রুগিরাও তার হাতে হয়রানি শিকার হতে দেখা যায় প্রায় সময়ই।
আরও পড়ুন- ফল ও সবজি রাসায়নিকমুক্ত করবেন যেভাবে
আরও জানা যায়, ঐ কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বে থাকা সেলিনা আক্তারের স্বামী শামীম মাষ্টারও মাঝে মধ্যে বৈদ্যুতিক পাখা বাতি বন্ধ করতে ক্লিনিকে আসেন। আবার কখনো সন্ধ্যায় কখনো রাতে এসে জাতীয় পতাকা নামাতে দেখা যায় বলে জানান স্থানীয়রা। এভাবেই চলছে শিমূলঘর গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম।
সেলিনা আক্তারে এমন আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। অসুস্থ হয়ে রুগীরা ঔষধের জন্য সেলিনার কাছে গেলে প্রায় সময়ই বলেন ঔষধ নেই। আবার তার পছন্দের রুগীদের সেবার কমতি নেই বলেও অভিযোগ উঠেছে ।
এই বিষয়ে সেলিনা আক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তার স্বামী শামীম মাষ্টার জানান, সেলিনা আক্তার ট্রেনিং এ আছেন। এইটা সরকারি প্রতিষ্ঠান, তা নিয়ে নিউজ করে লাভ কি?
সচেতন মহলের দাবি, সেলিনার বিরুদ্ধে এমন অহরহ অভিযোগ থাকার পরও বহাল তবিয়তে অনিয়মের রাজত্ব কায়েম করেই চলেছে। দ্রুত উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন তারা।