কলকাতা-খুলনা রুটে চলাচলকারী ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেনে ভারত থেকে আসা পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চোরাচালান রোধে বেনাপোল রেল স্টেশনে অভিযান চালিয়েছে টাস্কফোর্স।
রবিবার (০৪ জুন) সকালে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ডলি খাতুন নামে এক নারী চোরাকারবারিকে আটক করা হয়। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
খুলনা-২১ বিজিবি’র ডেপুটি রিজওয়ান কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার নামজুল হাসান এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন- রাজ আমার সঙ্গে থাকতে চায় নাঃ পরীমনি
জানা যায়, ভারত থেকে ১৫১ জন যাত্রী নিয়ে কলকাতা থেকে ছেড়ে আসা ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি সকাল ১০টার দিকে বেনাপোল রেল স্টেশনে প্রবেশের আগেই বিজিবি সদস্যরা রেলস্টেশন এলাকা ঘিরে রাখে। পরে স্টেশনে অবৈধভাবে প্রবেশ এবং চোরাচালানে সহায়তার অভিযোগে বিজিবি ডলি খাতুন নামে একজন নারী চোরাকারবারিকে আটক করে। এছাড়া বেশকিছু যাত্রীর কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকার চোরাচালানযোগ্য মালামাল আটক করা হয়।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিজিবির ডেপুটি রিজওয়ান কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার নামজুল হাসান, সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মামুনুর রশিদ, যশোর ৪৯ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার আহমেদ হাসান জামিল, অপস অফিসার মুজাহিদ, শার্শা উপজেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা ইসলাম, কাস্টমস কর্মকর্তা সাইফুর রহমান মামুনসহ আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা।
সাধারণ যাত্রীরা জানান, সপ্তাহে রবি ও বৃহস্পতিবার কোলকাতা-খুলনার মধ্যে চলাচলকারী এই ট্রেনটি এখন চোরাচালানীদের দখলে চলে গেছে! এ দুই দিন ট্রেনের অধিকাংশ যাত্রীই চোরাচালানী পণ্য বহন করে থাকে। বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে অবৈধ চোরাচালানীরা। ফলে ব্যাহত হচ্ছে আন্তর্জাতিক রেল সেবাতে; ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা!
আরও পড়ুন- ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের বহনকারী বাসটিও দুর্ঘটনার শিকার
প্রতি রবি ও বৃহস্পতিবার কাস্টমস, বিজিবি, পুলিশ, র্যাবসহ বিভিন্ন সংস্থার অভিযান পরিচালনা করলেও নিয়ন্ত্রণে আসছেনা চোরাকারবারিরা। একটি সিন্ডিকেটের সহযোগিতায় তারা এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে।
যশোর ৪৯ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার আহমেদ হাসান জামিল জানান, আমরা চোরাচালান রোধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রেখেছি। ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেনে চোরাচালান শূণের কোঠায় নিয়ে আসা হবে। যাতে সাধারন যাত্রীরা সাচ্ছন্দে এ ট্রেনে চলাচল করতে পারে।