নেত্রকোণা জেলার মদন উপজেলা জাল জালিয়াতির দায়ে অভিযুক্ত সেই তিনজন দলিল লেখকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
রবিবার (৪ জুন) সকালে বারহাট্টা উপজেলার সাব-রেজিস্টার আব্দুল সামাদ আজাদ এ তদন্ত কাজের দায়িত্ব পেয়ে তদন্ত শুরু করেন।
উল্লেখ্য, দলিল লেখক আব্দুল গনি গত ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর জাহাঙ্গীরপুর মৌজার ৪.১ শতাংশের একটি জমির দলিল করেন। সেই জমির প্রকৃত মালিক দেবাশীষ বৈশ্য নামের এক ব্যক্তি। দেবাশীষ বৈশ্য প্রায় এক যুগ ধরে এলাকায় থাকেন না।
আরও পড়ুন- মদনে তিন দলিল লেখকের বিরুদ্ধে জ্বাল দলিল জালিয়াতির অভিযোগ
সেই সুযোগে বৈশ্যপাড়া এলাকার দুলাল চন্দ্র সরকার মালিক সেজে জাহাঙ্গীর নামের আরেক ব্যক্তির কাছে ৩৫ লাখ টাকায় ৪.১ শতাংশ জমি বিক্রি করেন। ওই দলিলে দেবাশীষ বৈশ্যের জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে দুলালের ছবি ব্যবহার করা হয়। দলিল লেখক আব্দুল গনি দুলালকে দেবাশীষ বৈশ্য বলে শনাক্ত করে একটি ভুয়া দলিল করেন।
পরে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হলে চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি জমির প্রকৃত মালিক দেবাশীষ বৈশ্যের ভাই প্রবীর বৈশ্য নামে আবার আরেকটি দলিলের মাধ্যমে জমি ফিরিয়ে দেন জাহাঙ্গীর।
ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে এই বছরেরই গত ২২ শে জানুয়ারি আবার প্রবীর বৈশ্য ওই জমিটি তার ভাই দেবাশীষ বৈশ্যের নামে দলিল করে দেন।
আরও পড়ুন- এশিয়ার ‘আয়রন লেডি’ শেখ হাসিনাঃ দ্য ইকোনমিস্ট
এ ঘটনায় যুক্ত থাকায় দলিল লেখক সমিতি থেকে দলিল লেখক আব্দুল গনি, মাসুম ইয়ার খান ও হাফিজুর রহমান মানে তিনজন দলিল লেখককে বহিষ্কার করা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দলিল লেখক সমিতির ১৩ জন সদস্য স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ জেলা রেজিস্টার সহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করেন।
এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ আজাদ বলেন, এখনো তদন্ত কাজ শেষ হয়নি। তদন্ত কাজ শেষ হলে বিস্তারিত বলতে পারব।