বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস বিশ্বকে পরবর্তী মহামারির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে বলে মন্তব্য করে বিশ্ববাসীর প্রতি সতর্কতা জারি করে বলেছেন, বিশ্বকে অবশ্যই পরবর্তী মহামারির জন্য প্রস্তুত হতে হবে। এমনকি কোভিড-১৯ মহামারির চেয়েও সেটি ‘মারাত্মক ও প্রাণঘাতী’ হতে পারে।
তিনি এমন এক সময়ে এই মন্তব্য করলেন যখন করোনা মহামারি কাটিয়ে বিশ্বজুড়ে কিছুটা স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন- রোকাইয়াকে বাঁচাতে প্রয়োজন ৪ লাখ টাকা
মঙ্গলবার (২৩ মে) ৭৬তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশে যোগ দিয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করে তিনি কথা বলেন। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য জরুরি সতর্কতার ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ এর সমাপ্তি মানেই এই ভাইরাস আর বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি নয় এমনটা নয়। অপর একটি ভ্যারিয়েন্ট উদ্ভূত হওয়ার হুমকি রয়ে গেছে যা নতুন করে রোগ এবং মৃত্যুর উত্থান ঘটাতে পারে। আরও মারাত্মক সম্ভাবনাসহ আরও রোগজীবাণুর প্রাদুর্ভাব হওয়ার হুমকি রয়ে গেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অধীনে স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত লক্ষ্যগুলোর জন্য কোভিড-১৯ এর উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৩০ সাল পর্যন্ত এর প্রভাব থাকতে পারে।
তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অধীনে স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত লক্ষ্যগুলোর জন্য কোভিড-১৯ এর উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৩০ সাল পর্যন্ত এর প্রভাব থাকতে পারে।
আরও পড়ুন- উল্লাপাড়ায় আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিল
এই মহামারি ২০১৭ বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশে ঘোষণা হওয়া ট্রিপল বিলিয়ন লক্ষ্যমাত্রার অগ্রগতিকেও প্রভাবিত করেছে। ইতোমধ্যেই একশ কোটি মানুষ স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে সুরক্ষিত রয়েছেন। পাঁচ বছরের উদ্যোগে আরও একশ কোটি মানুষের সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, মহামারি আমাদের পুরোপুরি নাড়িয়ে দিয়ে গেছে। কিন্তু এটা আমাদের দেখিয়েছে যে, কেন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজিএস) আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবেই থাকবে এবং কেন আমরা মহামারি মোকাবিলা করার জন্য একই তাড়না ও সংকল্প অনুসরণ করব।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তী মহামারি যখন আঘাত হানবে তখন আমাদের অবশ্যই সিদ্ধান্তমূলক, সম্মিলিতভাবে ও ন্যায়সঙ্গতভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার মতো প্রস্তুত থাকতে হবে।
চলতি মাসের শুরুতে করোনাভাইরাস মহামারি আর ‘বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা’ নয় বলে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়।