ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, জাতীয় ঈদগাহে ৩৫ হাজার মুসল্লির জন্য ঈদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এবারের ঈদুল ফিতরে রাষ্ট্রপতি ঢাকাবাসীর সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহে ঈদের একমাত্র জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলেও এসময় জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শনে এসে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে।
আরও পড়ুন- রোকাইয়াকে বাঁচাতে প্রয়োজন ৪ লাখ টাকা
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন হওয়ায় প্রতি বছর জাতীয় ঈদগাহের ব্যবস্থাপনার কাজ করে সংস্থাটি। এ বছরও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অঞ্চল ১ প্রকৌশল বিভাগের আওতায় এ জাতীয় ঈদগাহের কাজ চলছে।
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি এবার আমাদের সঙ্গে ঈদের জামাতে অংশ নেবেন। সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, সচিব ও কূটনীতিকরা ঈদের জামাতে অংশ নেবেন। সাধারণ মুসল্লিদের জন্য সুষ্ঠু আয়োজন করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘খাবার পানিরও যথেষ্ট ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যাতে এই গরমে কেউ যেন কষ্ট না পায়। হঠাৎ করে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া সৃষ্টি হলে ঈদগাহ ময়দানে যাতে পানি জমতে না পারে, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন- লক্ষ্মীপুর-ভোলা রুটে ঈদ যাত্রায় দুর্ঘটনার শঙ্কা
জাতীয় ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শনে এসে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস আরও জানান, সাধারণ মুসল্লিদের বড় আকারের নামাজের কাতার করা হচ্ছে ৬৫টি, এছাড়া নারীদের জন্য ছোট কাতার করা হচ্ছে ৫০টি। এর বাইরে অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য ৬টি কাতার থাকবে। পুরো ঈদগাহ মাঠজুড়ে প্রতিবার একসঙ্গে প্রায় ১৪০ জন মুসল্লি এক সঙ্গে ওজু করতে পারবেন।
ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘গতবারের তুলনায় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র বেশি রাখা হয়েছে। বেশি করে চিকিৎসকও রাখা হয়েছে। কেউ অসুস্থ হয়ে গেলে দ্রুত চিকিৎসা সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা করেছি। সিভিল সার্জনসহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আলাদা চিকিৎসা সেবা বুথ থাকবে।’
ঈদগাহ ময়দানের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার সম্পর্কে তাপস বলেন, ‘এখানের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে। যেহেতু রাষ্ট্রপতি আসবেন, তাই এসএসএফ নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা করবে। সুতরাং আমরা খুবই আশাবাদী, সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।’
আরও পড়ুন- কুড়িগ্রামের তিস্তা পাড়ের মানুষের এ দুঃখের শেষ কোথায়?
জানা গেছে, জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের ক্ষেত্রফল ঈদগাহের প্যান্ডেলের ক্ষেত্রফল ৩০ বর্গমিটার (প্রায়)। জাতীয় ঈদগাহে প্রায় ২৫০ জন অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, গুরুত্বপূর্ণ নারী অংশ নেবেন। এছাড়া সাধারণ পুরুষ প্রায় ৩১ হাজার এবং নারী ৩ হাজার ৫০০ জন মিলিয়ে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ নামাজে অংশ নেবেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদগাহ মাঠে ১০টি এয়ার কুলারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত ফ্যান ও লাইটের ব্যবস্থা আছে। সেখানে সিলিং ফ্যান ৫৫০টি, স্ট্যান্ড ফ্যান ১৫০টি, মেটাল লাইট ৪০টি ও টিউব লাইট ৭০০টি রাখা হয়েছে। পাশাপাশি খাবার পানির ব্যবস্থা, ভিআইপি কাতারে জায়নামাজের ব্যবস্থা, ভ্রাম্যমাণ টয়লেটের ব্যবস্থা, প্রাথমিক চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা এবং বৃষ্টির পানি নিরোধক সামিয়ানার ব্যবস্থা করা হয়েছে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে।