পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে জনসংযোগ করতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সরকারি প্রকল্পের উপকারভোগীদের খোঁজখবর নিতে হবে। পাশাপাশি নিজেরা নিজেরা যেন কোনো রকম কাদা ছোড়াছুড়ি না করে, সে বিষয়েও নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, কাদা ছোড়াছুড়ি করে কোনো লাভ নেই, নমিনেশন তো আমি দেবো।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১১টায় ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলের যৌথ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- দেশে ২৫ হাজার স্মার্ট নারী উদ্যোক্তা তৈরি করা হবেঃ পলক
এর আগে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ ঢাকা মহানগরের (উত্তর-দক্ষিণ) সব সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে যৌথ সভা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সভা শেষে সভানেত্রীর কাছে মুঠোফোনে রিপোর্ট পেশ করা হয়। এসময় অপর পাশ থেকে শেখ হাসিনা বলেন, তোমাদের তো দেখা যায় না, ক্যামেরা কই?
সভায় উপস্থিত নেতারা জানান, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অসহায়, দুস্থ এবং গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। পাশাপাশি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দলকে আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন।
একই সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস সম্পর্কে দেশবাসীকে সচেতন করাসহ সারা দেশের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি। এ ছাড়াও দলীয় নেতাদের কর্মীদের বৃক্ষ রোপণ করতেও নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
আরও পড়ুন- রোকাইয়াকে বাঁচাতে প্রয়োজন ৪ লাখ টাকা
পরে সভানেত্রীকে ভিডিও কলে যুক্ত করলে ঘরভর্তি নেতাকর্মীর মাঝে যেন ঈদের আগাম উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে। এসময় সমস্বরে সবাই বলেন, ‘ঈদ মোবারক, আপা’।
সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশি যত শক্তির কাছেই বিএনপি ধরনা দিক না কেন, কারও কোনো ফরমায়েশি গণতন্ত্র মেনে নেওয়া হবে না। সংবিধান অনুযায়ী আমাদের গণতন্ত্র চলবে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গনে স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে অস্বাভাবিক পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে অশুভ শক্তির অশুভ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। বিএনপির নেতৃত্বে যে অশুভ শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে তা মোকাবিলায় মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। অগ্নিসন্ত্রাসের কালো ছায়া যেন নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট না করতে পারে সেজন্য সারাদেশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।
যৌথসভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফর উল্ল্যাহ, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সিমিন হোসেন রিমিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, সহ-কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।