কয়েকদিন আগেও প্রতারণার সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল কয়েকজন দলিল লেখকের বিরুদ্ধে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে দলিল লেখক সমিতি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল কিন্তু এখনো থেমে নেই তাদের কার্যক্রম।
আরও পড়ুন- ২০০ মিটার সড়কে নাকাল ১৫ গ্রামের মানুষ
অবিযোগ সুত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারী মাজহারুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে বাড়ীবাদেড়া মৌজার ৬.৩ শতক জমির (যার দাগ নং ১৩৪৩) রেজিস্ট্রি খরচ বাবদ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন দলিল লেখক রহিস মিয়া। পরে যখন ওই ব্যক্তি জানতে পারেন যে তার জমি রেজিস্ট্রি খরচ আসে মাত্র ৩৫ হাজার টাকা তখন তিনি রহিস মিয়ার কাছে তার কাছ থেকে বেশি টাকা নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি ( রহিস মিয়া) ঐ ব্যক্তিকে গত ১৫ই মার্চ ১০ হাজার টাকা দিয়ে বাকী টাকা ২২শে মার্চ ফেরত দিয়ে দিবেন বলেন কিন্তু তারপর থেকে অভিযুক্ত রহিস মিয়া আর মাজহারুল ইসলামের ফোন রিসিভ করে না। এমন কি টাকাও দেয় না বলে জানা যায়। তারপর মাজহারুল ইসলাম তার টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ও মদন সাব রেজিস্ট্রার অফিস সহ কয়েকটি দপ্তরে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে মাজারুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি প্রতারণা শিকার হয়েছি, এখন আমি এর বিচার চাই ।
আরও পড়ুন- রাজনৈতিক দাবি আদায়ে বিএনপির নতুন কর্মসূচি
দলিল লেখক রহিস মিয়া সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে, আমি এখন ব্যস্ত আছি, পরে কথা বলবো বলে তিনি ফোন কেটে দেন।
দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আল- মামুন আকন্দ রিপন এর সাথে কয়েক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে মদন সাব রেজিস্ট্রার মাহাবুবুর রহমানের সঙ্গে কথা বললে তিনি অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি বিষয়টি উদ্বোধন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি , উদ্বোধন কর্তৃপক্ষ এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।