ঋতুর বসন্ত শুরু হলেও দিনাজপুরের বিরামপুরে এখনো পুরোপুুরি কাটেনি শীতের আমেজ। তবে বাজারে গেলেই চোখে পড়ছে গ্রীম্মকালীন ফল তরমুজ। আগাম জাতের গ্রীম্মকালীন ফল তরমুজ কিনতে দোকানে ক্রেতা ভিড় এবং দর-কষাকসির দৃশ্য চোখে পড়লেও বিক্রি নেই বলছেন ব্যবসায়ীরা।
বুধবার (মার্চ) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার কলাবাগান মোড়, নতুন বাজার, ঢাকা মোড়, কলেজবাজার এলাকায় আগাম জাতের তরমুজ বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি দামে। কলেজ বাজারে তরমুজ কিনতে আসা রানা হোসেন বলেন, শীতে তরমুজ বাজারে দেখাই যায় না, কেনার সময় খেয়ে দেখলাম স্বাদও তেমন ভালো না। তবে আমার বাচ্চারা তরমুজ খেতে অনেক ভালোবাসে তাই ৬ কেজি ওজনের তরমুজ ৫৫ টাকা কেজি দামে কিনলাম।
আরও পড়ুন- রোকাইয়াকে বাঁচাতে প্রয়োজন ৪ লাখ টাকা
তরমুজ কিনতে আসা বাবু্ল আখতার বলেন, বাজারে নতুন ফল এসেছে তাই লোভ সামলাতে পারলাম না কেনার চেষ্টা করলাম, কিন্তু দাম বেশী বলে কেনা হলোনা।
তরমুজ কিনতে আসা আরেক ক্রেতা মোকছেদুর রহমান বলেন, আমি সীমিত রোজগার করি বাজারে নতুন ফল দেখে কিনতে ইচ্ছা হলো, কিন্তু একটি তরমুজ কিনতে আমার লাগবে আড়াইশো থেকে তিনশ টাকা। আমার তা কেনা সম্ভবনা, বাজারে তরমুজের দাম কম হলে হয়তো কিনে খেতে পারবো।
আরও পড়ুন- প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষার ফল স্থগিত
ফল বিক্রেতা আরমান আলী বলেন, আমি সারাবছর ফলের ব্যবসা করি, এখন বাজারে বিভিন্ন প্রকারের পেয়ারা, কুল বিক্রি হচ্ছে। আমি জানি চৈত্র মাসে তরমুজ বাজারে আসে, কিন্তু দেখি ফাল্গুন মাসেই এই ফল বিভিন্ন বাজারে অনেকে বিক্রি করেছে। তাই আমিও আগাম জাতের তরমুজ বিক্রি করছি। তবে এই আগাম জাতের তরমুজ বরিশাল এলাকায় হয়ে থাকে, সেই এলাকা থেকে এখানে আনতে খরচ একটু বেশি হয়, তাই এখন বাজারে তরমুজ ৫০-৬০ টাকা কেজি দমে বিক্রি করতে হচ্ছে।
ফল বিক্রেতা সোহাগ বলেন, আমাদের অঞ্চলে তরমুজের আবাদ সে রকম হয় না। কয়েকটি এলাকায় আবাদ হলেও এই সময় বাজারে আসেনা। আমরা বরিশাল থেকে তরমুজ নিয়ে এসে বিক্রি করছি, এর স্বাদ ভালো থাকায় বাজারে চাহিদাও আছে। এক সপ্তাহ ধরে বিক্রি করছি, দাম একটু বেশি বলে বেচাকেনা সেভাবে জমে উঠেনি। তবে আশা করছি সমনে আর একটু গরম পরবে এবং রমজান মাসও আসছে বেচাকেনা জমে উঠবে। এখন কেনার চেয়ে দেখার কাস্টমার বেশি।