নেত্রকোনা মদন উপজেলা চানগাঁও ইউনিয়নের রত্নাপুর গ্রামের মৃত আলী ওছমান এর ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলামের বাসায় রং এর কাজ করতে গিয়ে উপজেলার মদন ইউনিয়নের গঙ্গানগর গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে হিমেল (২৮) বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত হয়।
এলাকাবাসী ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঐ বাসায় রং করতে আসে ৪ জন মিস্ত্রি। বাসার উপর দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎতের মেইন লাইন যাওয়ায় বাসার মালিক নিজ উদ্যোগে প্রধান লাইনে প্লাস্টিকের পাইব দিয়ে তার মুড়িয়ে দিয়ে বাসার রংয়ের কাজ করাচ্ছেন।
আরও পড়ুন- কক্সবাজারে ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত
এতে দেখা যায় দ্বিতীয় তালার ছাদের উপর দিয়ে তার একদম ঘেঁষে গেছে। ঐ বাসায় রং দিতে বাঁশ ও লোহার পাইপ দিয়ে মইয়া তৈরি করে রং লাগানো কাজ করতে ছিল হিমেল ও তৌহিদুল ইসলাম নামে দুইজন রং মিস্ত্রি কিন্তু হঠাৎ করে মইয়া হেলে গিয়ে বিদুৎ তারের সাথে লেগে গিয়ে দুই জনই গুরুত আহত হলে স্থানীয় লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হিমেলকে মৃত ঘোষণা করে এবং তৌহিদুল ইসলাম (৪০) কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেলে পাঠিয়েছেন।
এ বিষয়ে বাসার মালিক সাইফুল ইসলাম বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে ৪ জন রং মিস্ত্রি আমার বাসায় রং এর কাজ করতে ছিল, আজ দুপুরে বাসার ছাদের উপরে মইয়া দিয়ে কাজ করার সময় হঠাৎ মইয়া হেলে গিয়ে বিদুৎ এর তারে লেগে যায়, যার ফলে এ ঘটনা ঘটে।
মদন থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১ জন নিহত হয়েছে বলে শুনেছি, তবে এখন পর্যন্ত লিখিত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।