বাসচাপায় নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নাদিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কাওলা ব্রিজের নিচে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধের কারণে খিলক্ষেত থেকে উত্তরাগামী রাস্তার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আন্দলোনরত শিক্ষার্থীরা নাদিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষতিপূরণ ও বিচারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আমরা বারবার আন্দোলন সংগ্রাম করছি। একের পর এক আমাদের ভাই-বোনকে হারাতে হচ্ছে। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
আরও পড়ুন- ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল মাদানীর বিচার শুরু
এদিকে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কয়েকটি দাবি জানিয়েছেন। এগুলো হলো ভিক্টর ক্লাসিক বাসের রোড পারমিট বাতিল করতে হবে। নাদিয়ার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কাওলা এলাকায় স্থায়ী বাস স্টপিজ করতে হবে।
গতকাল দুপুর পৌনে ১টায় প্রগতি সরনিতে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাসের চাপায় নিহত হন নাদিয়া। মাত্র দু’সপ্তাহ আগে নর্দার্ন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
এক বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে প্রগতি সরণি এলাকায় গিয়েছিলেন নাদিয়া। তাদের মোটরসাইকেলটিকে ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের একটি বাস চাপা দেয়। এতে নাদিয়া মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় পড়ে বাসের সামনের চাকায় পিষ্ট হন। তার মোটরসাইকেল চালক বন্ধু অক্ষত ছিলেন।
এদিকে আজ সকালে রাজধানীর বাড্ডার আনন্দনগর থেকে ঘাতক বাসের চালক লিটন ও সহকারী আবুল খায়েরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘাতক বাসটিও জব্দ করা হয়েছে।
দুপুর ১টার দিকে দেখা যায় দূরপাল্লার বাসগুলোর জন্য আলাদা একটি লেন করে সেগুলো ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ব্যক্তিগত যানবাহন ও জরুরি সেবার বিভিন্ন গাড়িকেও যেতে দিচ্ছেন তারা।