দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজে ৫ হাজার ৫৮৯টি অনুমোদিত ক্যাডার পদের বিপরীতে ২ হাজার ৬০৫টি শিক্ষক পদ খালি রয়েছে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ রবিবার (২২ জানুয়ারী) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নত্তোর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহাম্মেদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী এ কথা জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব প্রশ্ন উত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহাম্মেদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সরকারি মেডিকেল কলেজে ৫ হাজার ৫৮৯টি অনুমোদিত ক্যাডার পদের বিপরীতে শূন্য পদ ২ হাজার ৬০৫টি। সংযুক্ত হিসেবে কর্মরত ১ হাজার ৩৬৯ জন।
আরও পড়ুন- ৩ দিনের জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২৪-২৬ জানুয়ারি
তিনি বলেন, ‘মেডিকেল কলেজগুলোতে সরাসরি শিক্ষক নিয়োগ করা হয় না। মেডিকেল কলেজের প্রভাষক পদে মেডিকেল অফিসার থেকে বিষয়ভিত্তিক পদায়ন করা হয়।’
সরকারি দলের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ‘২ হাজার ৬০০ শয্যার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যক রোগী চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেন। ফলে এই হাসপাতালে রোগী ও স্বজনদের থাকা-খাওয়া ও চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমে কিছুটা অসুবিধা হয়। তবে সরকার রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে ডিএমসির শয্যা ৫ হাজারে উন্নীত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।’
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশে শনাক্ত হওয়া এইচআইভি রোগীর সংখ্যা ৯ হাজার ৭০৮ জন। এর মধ্যে ৬ হাজার ৭৫ জন্য চিকিৎসাধীন।
তিনি জানান, দেশে ১ হাজার ৮২০ জন এইচআইভি রোগী মারা গেছেন।
আরও পড়ুন- শহীদ আসাদ দিবস আজ
সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের শতকরা ১০-১২ ভাগ মানুষ থ্যালাসেমিয়া এবং হিমোগ্লোবিন ই রোগের বাহক। বর্তমানে দেশে থ্যালাসেমিয়া রোগীর সংখ্যা প্রায় ৯০ হাজার।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশের সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সর্বমোট বেড ১৯ হাজার ৩০০টি। উপজেলা হাসপাতালসমূহ পরিচালনার জন্য ওষুধ পত্রসহ এমএসআর খাতে বেড অকুপেন্সি রেট অনুয়ায়ী রাজস্ব বাজেট থেকে বাৎসরিক টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়ে থাকে এবং বরাদ্দকৃত টাকার মধ্যে ৭০% টাকা ওষুধ বাবদ ব্যয় করা হয়। উল্লেখ্য গত অর্থবছরে ৪২৯ কোটি ৮৩ লক্ষ ২৮ হাজার ৮০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক জানান, সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ফি সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘বেসরকারি মেডিকেল কলেজে টিউশন ফি নির্ধারণের বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। সে নির্দেশনা অনুসরণ করে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি নির্ধারণ করে থাকে। এ বিষয়গুলো মনিটরিং এর জন্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের কার্যক্রমও চলমান রয়েছে।