শরীয়তপুর সদরে প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নব-নির্মিত মডেল মসজিদের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় সারাদেশের জেলা উপজেলায় নির্মাণাধীন ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মধ্যে ২য় পর্যায়ে শরীয়তপুর সদর ও ভেদরগঞ্জ উপজেলাসহ ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর জেলার পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ,কে এম এনামুল হক শামীম এমপি, স্থানীয় সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু এমপি, নাহিম রাজ্জাক এমপি, জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান, পুলিশ সুপার সাইফুল হক সহ মুক্তিযোদ্ধাগণ, ইমামগণ ও ধর্মীয় নেতারা এবং বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নেতাকর্মীর। উপস্থিত অতিথিরা মসজিদ উদ্বোধন করায় বঙ্গবন্ধুকন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
এই মডেল মসজিদটিতে ৯০০ জন পুরুষ ও ৩০০ জন মহিলাসহ মোট ১২ শতাধিক মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
আরও পড়ুন- নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে শুরু
আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধাসহ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মসজিদটিতে রয়েছে ইসলামিক সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স, পাঠাগার, গবেষণা কেন্দ্র, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, পবিত্র কোরআন হাফেজ বিভাগ, অর্টিজম কর্নার, মাস এডুকেশন প্রজেক্ট রুম, শিশুশিক্ষা, প্রতিবন্ধীদের প্রার্থনা কক্ষ, অতিথিশালা, মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা, সাব-স্টেশন, হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ, ইমামদের প্রশিক্ষণ, গণশিক্ষা কেন্দ্র ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে একটি পূর্ণাঙ্গ কমপ্লেক্স।
দ্বিতীয় তলায় মূল নামাজ কক্ষ, কনফারেন্স রুম, ওজুখানা, টয়লেট, হিসাব কক্ষ। ৩য় তলায় মহিলাদের জন্য নামাজ কক্ষ, মক্তব কক্ষ, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেম, শিক্ষক ও সাধারণ কর্মচারীদের কক্ষ, অতিথি কক্ষ। এছাড়াও মেহেরাব, সিঁড়ি ও একটি সুউচ্চ দৃষ্টিনন্দন মিনার রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান মডেল মসজিদটি আমাদের উপজেলায় এটি সর্বপ্রথম সব সুযোগ সুবিধা সমৃদ্ধ দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। জেলা প্রশাসক জানান, শরিয়তপুর জেলার নব নির্মিত দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ আজ প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের পর মসজিদটি আজ মুসল্লিদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এদিকে সোমবার শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায়ও একই মডেলের নান্দনিক মডেল মসজিদ উদ্বেধিন করা হয়েছে। সারাদেশে নির্মাণাধীন ৫৬০টি মডেল মসজিদের অবকাঠামো গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। বাস্তবায়নকারী সংস্থা ইসলামিক ফাউন্ডেশন।